ভর্তুকি সমন্বয় ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক শ্রেণিতে গ্যাসের দাম বাড়ানো (সমন্বয়) হয়েছে বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে এক ব্যাখ্যায় জ্বালানি বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে দুপুরে শিল্প ও বাণিজ্য শ্রেণিতে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জ্বালানি বিভাগ। প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৪ টাকা, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ৩০ টাকা এবং বাণিজ্যিক (হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য) ক্ষেত্রে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
গৃহস্থালি, সিএনজি, চা-শিল্প (চা-বাগান) ও সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ আবাসিকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়নি। গ্যাসের নতুন মূল্য আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হবে।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাখ্যায় জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক বিশেষ জ্বলানি পরিস্থিতিতে ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী সব প্রকার জ্বালানির মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এছাড়া জ্বালানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয়, যেমন- বিমা খরচ, ঝুঁকি ব্যয়, ব্যাংক সুদ, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকা দুর্বল হওয়ায় সামগ্রিকভাবে জ্বালানি খাতে ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি মূল্যও অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি বাবদ প্রদান করতে হচ্ছিল। সে কারণে গত বছরের জুলাই থেকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান উৎপাদন/সরবরাহ সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পসহ সব খাতে গ্যাস রেশনিং করা হচ্ছে।
|
‘চলমান কৃষিসেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা মেটানো, শিল্পখাতে উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং রপ্তানিমুখী কলকারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে করণীয় সম্পর্কে সব অংশীজনের মতামত নেওয়া হয়।’
ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, যেহেতু স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানি করে ওই বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে হবে, সেই কারণে সরকার বিদ্যুৎ, শিল্প, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ও বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রিন্ট