সীমানা প্রাচীর না থাকায় অযত্ন আর অবহেলায় আছে নলছিটি শহরের পৌর কেন্দ্রে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। প্রতি বছর আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস আসলে শহিদ মিনারের কদর বেড়ে যায় তখন একদিনের জন্য সম্মান দেখানো হলেও বছরের বাকিটা সময় আর কেউ খবর রাখে না। সীমানা প্রাচীর না থাকায় যা এখন দখলদারদের দখলে চলে যাচ্ছে। যার কারণে আশেপাশের পরিবেশও হয়ে যাচ্ছে নোংরা আর জঞ্জালে ভরপুর।
দিবস আসলে একটু ধোয়া মোছা আর রং করার মাঝেই সীমাবন্ধ থাকে দেখভাল করা কর্তৃপক্ষের কাজ। শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক কর্মী মিলন কান্তি দাস বলেন, শহিদ মিনার হলো আমাদের ইতিহাস ও ঐহিত্যের প্রতিক তাই এই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান রক্ষার্থে এর যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রয়োজন। এর জন্য যা যা করার যথাযথ কর্তৃপক্ষ সবই করবেন বলে আমরা আশা করি।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় শহিদ মিনার সংলগ্ন মাঠের একাংশে অটোরিকশার ষ্টান্ড করা হয়েছে আর যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পার্ক করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। স্থানীয় একজন বাসিন্দা (অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেণ,এখানে শুধু অটোষ্টান্ড আর গাড়ি পার্কিং নয় রাতের বেলা মাদকসেবীদের আড্ডাও জমে। যারা প্রভাবশালীদের আর্শিবাদপুষ্ট হওয়ায় কেউ কিছু বলার সাহসও করেন না।
একটা সীমানা প্রাচীর থাকলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে নলছিটি পৌর মেয়র ওয়াহেদ খান বলেন, শহিদ মিনারের সৌন্দর্যবর্ধন ও সীমানা প্রাচীরের পরিকল্পনা রয়েছে খুব শীঘ্রই সেখানের অব্যবস্থাপনা দূর করা হবে।
প্রিন্ট