মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের বড়শলই গ্রামে ১৫১ তম দুই দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বড়শলইর ঘোড়দৌড় ও মেলা হয়েছে। মেলার প্রথম দিন শুক্রবার ১৩ জানুয়ারি দুপুর ২ টার সময় বড়শলই বিলের মাঠে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর বাংলা সন ২৯ পৌষ বড়শলই গ্রামে এ মেলা বসে। বড়শলই কলাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে মেলাকে কেন্দ্র করে সারা এলাকায় মহা উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।
এবারও লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে মেলায়।
বড়শলই মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী মোল্যা ও সার্বিক পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ এ এইচ এম আলমগীর হোসেন তুষার জানান ১৫১ তম বছরে পর্দাপন করছে এই মেলা। মেলায় ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য মাগুরা-২ এ্যাডভোকেট ডঃ শ্রী বীরেন শিকদার। বিশেষ অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন, মাগুরা সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাঘবদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম বাবুল ফকির, মাগুরা জেলা পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান খোকন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব শিকদার, মেম্বার হাসান বিশ্বাস, বড়শলই গ্রামের মাতব্বর আঃ রাজ্জাক বিশ্বাস, মোঃ লাল্টু মোল্লা, মোঃ আলমগীর মোল্লা, উজ্জ্বল মোল্লা, সাবেক মেম্বার খোকন মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ১ নং ওয়ার্ড কুচিয়ামোড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ তরিকুল ইসলাম।
মেলায় প্রথম রাতে আধ্যাত্মিক বাউল গান ও বিচার গান পরিবেশন করেন বয়াতি নজরুল ইসলাম ও তাপসী সরকার। মেলায় ২য় দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য ও গান পরিবেশিত হয়। মেলায় নৃত্য পরিবেশন করেন মাগুরা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক সবুজ খান আপেলের দল। এই দলে ছিলো নাবিলা খাতুন, ফারজানা, বৃষ্টি, তাবাচ্ছুম। মেলায় নানারকমের বাহারি খাবারের দোকান, মিষ্টির দোকান, কসমেটিকস, পানের দোকান সহ বিভিন্ন ধরনের দোকানের পরশা সাজিয়ে মেলা পরিচালিত হয়।
আড়পাড়া থেকে আগত সনাতন রায় মেলা দেখতে এসে বলেন পুরানো ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন প্রজন্মদের নতুন ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন ছোটবেলায় আমি বাবা ও জ্যাটাদের সঙ্গে এই বড়শলই মেলায় এসেছি তবে আজ এই মেলায় এসে আমার শৈশবের স্মৃতি খুবই মনে পড়ছে এবং চোখের সামনে মনে হলো আজও আমি সেই শৈশবেই ফিরে গেছি।
প্রিন্ট