গত কয়েকদিন ধরে টানা শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুষি।টয়ার ভেড়ামারায় হাড়কাঁপানো শীতে নাকাল সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ এবং মজুরি শ্রমিকদের। হাসপাতালে জ্বর, ঠান্ডা, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ।
শীতের সাথে কুয়াশা ও হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। কুয়াশা থাকায় ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় তীব্র শীতের অনুভূতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আবহাওয়ার খবরে বলা হয়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আজ বুধবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় তামপাত্রা নেমেছে ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ভেড়ামারায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
হঠাৎ করেই ভেড়ামারায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। পৌষের কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ।ঘন কুয়াশার কারণে অধিকাংশ সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। প্রচন্ড শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। শীতে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ফসলের বীজতলা ঠিকমতো পরিচর্যা করতে না পারা ও কুয়াশায় চারা নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন বিপদে। হাড় কাঁপানো শীতের আক্রমণে নাগরিকরা রীতিমতো জবুথবু গায়ে গরম কাপড় ও টুপি পরে তারা শীতের দাপট থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করে। ভেড়ামারা শহরের,রেলষ্টেশনের ও স্থানীয় বাস ষ্ট্যান্ডের ছিন্নমূল মানুষ কাগজ-খড়কুটো পুড়িয়ে একটু উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রিন্ট