মাগুরা সদরের কাঞ্চনপুর এলাকায় এক ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ইজিবাইক চালক জনাব আলী (৪৭) পাকা কাঞ্চনপুর গ্রামের গোলাম আকবার বিশ্বাসের ছেলে।
নিহতের বোনের জামায় ও স্থানীয়দের বরাতদিয়ে জানা যায়, বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালিন সময়ে পাশের এলাকার মিজানুর নামের এক ব্যক্তি নিহতের বাড়ির উঠানে রাতে ঘুরাঘুরি করছিলেন। এমন সময় নিহত ওই ব্যক্তির ছেলে বিষয়টি সন্দেহের মনে করে স্থানীয় ও বাড়ির লোকজন মিলে মিজানুরকে মারধর করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় মাতবর ও ইউপি সদস্যদেরকে নিয়ে সুরাহা করা হয়। কিন্তু এই বিষয়টি মিজানুর নামের ওই ব্যক্তি ভালো ভাবে নিতে পারেননি।
তারই সূত্র ধরে ৩১ ডিসেম্বর শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে কাঞ্চনপুর মসজিদের সামনে জনাব আলীর ইজিবাইকের গতিরোধ করে। পরে তাকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে জনাব ফকির (৫৫), পিং- মনিরুদ্দী ফকির, মিজানুর ফকির (৩৫), মিঠুন (৩০) উভয় পিং- ছরোয়ার ফকির, মনিরুল (৪৫), পিং- ওসমান ফকির ও তাদের সাথে থাকা আরো বেশ কয়েকজন ইজিবাইক চালককে রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে মারপিট করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে ইজিবাইকে থাকা যাত্রী ও স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে প্রায় ৪ ঘন্টা চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে রাত ৯ টার দিকে তিনি মারা যান। ঘটনার এই বিষয়ে নিহত জনাব বিশ্বাসের ছোট ভাই সিহাব বিশ্বাস জানান জনাব ফকির, মিজানুর, মিঠুন, মনিরুল সহ অনেক লোকজন তাকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। তিনি আরও বলেন গত অনুমান ৩-৪ বছর পূর্বে আমাকে একই ভাবে ঐ গ্রাম থেকে ফারুক, আকরাম ও মিজানুর মেরে আমার পা ভেঙ্গে দিয়ে ছিলো।
জানা যায়, ঘটনার সাথে অভিযুক্ত মিজানুর হেল্থে চাকরি করেন। এ ঘটনার বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রজমান জানান, ঘটনাটি ঘটার সাথে আমরা খবর পেয়ে কাঞ্চনপুর এলকায় যায়। পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে তার জন্য এলকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আমাদের অভিযান চলছে। এর সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকে অতিদ্রুতই আটক করতে সক্ষম হবো।
তবে গতকাল সন্ধ্যার পর কাঞ্চনপুর দক্ষিণ পাড়ায় দেখা যায় মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা যখন আগুন নিভানোর কাজে ব্যস্ত ছিলো তখন দেখা যায় অগ্নিকৃত গোয়ালঘরে কোনো গরু ও ছাগল ছিলো না। এ বিষয়ে রাজু বিশ্বাসের স্ত্রী বলেন গরু ছাগল সন্ধ্যার আগে থেকেই মাঠে ছেড়ে দিয়ে ছিলাম তবে কারোর কোনো গরু ছাগলের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকা কাঞ্চনপুর গ্রামের নিহত পক্ষের প্রায় ২২ জন লোকজনকে পুলিশ সন্দেহ জনক ভাবে রাতে আটক করে।
প্রিন্ট