ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় ঋণের চাপে গলায় ফাঁস নিয়ে ভ্যানচালকের আত্মহত্যা

ফরিদপুরের সালথায় ঋণের চাপে ও স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার কারণে মো. সাহিদ শেখ (৩৫) নামে এক ভ্যানচালক আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে সে আত্মহত্যা করে। নিহত সাহিদ উপ‌জেলার মাঝার‌দিয়া ইউ‌নিয়‌নের পোড়াগ‌দী গ্রামের মৃত আব্দুর সোবহান শেখের ছেলে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্র জানা গেছে, সাহিদ শেখ ঢাকায় ভ্যান চালাতেন। বাড়িতে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে থাকতেন স্ত্রী । সাহিদ মাদকাসক্ত ছিল ও জুয়া খেলতো। বাড়িতে ঠিকমত আসতো না। মাঝে মাঝে এসে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ তুলে নিয়ে আবার ঢাকা চলে যেত। এতে সে অনেক টাকার দেনা হয়ে যায়। এদিকে স্ত্রী পরকিয়ায় আসক্ত বলে সন্দেহ শুরু করেন সাহিদ।

সব মিলিয়ে নানা টেনশন নিয়ে শুক্রবার বিকালে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। বাড়ি এসে স্ত্রীকে মারধরের চেষ্টা করলে ভয়ে বিকালেই সে সন্তানদের নিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। এই সুযোগে সাহিদ গলায় স্ত্রীর শাড়ি কাপড় পেচিয়ে নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা সাহিদের সারাশব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতর গিয়ে তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ঋণের চাপে ও স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার কারণে সাহিদ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গের পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

সালথায় ঋণের চাপে গলায় ফাঁস নিয়ে ভ্যানচালকের আত্মহত্যা

আপডেট টাইম : ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

ফরিদপুরের সালথায় ঋণের চাপে ও স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার কারণে মো. সাহিদ শেখ (৩৫) নামে এক ভ্যানচালক আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে সে আত্মহত্যা করে। নিহত সাহিদ উপ‌জেলার মাঝার‌দিয়া ইউ‌নিয়‌নের পোড়াগ‌দী গ্রামের মৃত আব্দুর সোবহান শেখের ছেলে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্র জানা গেছে, সাহিদ শেখ ঢাকায় ভ্যান চালাতেন। বাড়িতে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে থাকতেন স্ত্রী । সাহিদ মাদকাসক্ত ছিল ও জুয়া খেলতো। বাড়িতে ঠিকমত আসতো না। মাঝে মাঝে এসে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ তুলে নিয়ে আবার ঢাকা চলে যেত। এতে সে অনেক টাকার দেনা হয়ে যায়। এদিকে স্ত্রী পরকিয়ায় আসক্ত বলে সন্দেহ শুরু করেন সাহিদ।

সব মিলিয়ে নানা টেনশন নিয়ে শুক্রবার বিকালে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। বাড়ি এসে স্ত্রীকে মারধরের চেষ্টা করলে ভয়ে বিকালেই সে সন্তানদের নিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। এই সুযোগে সাহিদ গলায় স্ত্রীর শাড়ি কাপড় পেচিয়ে নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা সাহিদের সারাশব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতর গিয়ে তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ঋণের চাপে ও স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার কারণে সাহিদ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গের পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।