ঢাকা , রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নগরকান্দায় আগুন কেড়ে নিলো চার বছরের মাইশার প্রাণ

ফরিদপুরের নগরকান্দায় গ্যাস লাইটের আগুনে কেড়ে নিলো চার বছরের মাইশার প্রাণ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। মাইশা নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের ইব্রাহিম মাতুব্বরের শিশু কন্যা। শিশুটির পিতা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে গত ১৭ ডিসেম্বর শনিবার অবুজ শিশু মাইশাসহ আরো তিন শিশু গ্যাস লাইট নিয়ে খেলা করছিল। এ সময় গ্যাস লাইটের আগুন মাইশার পরনের কাপড়ে লেগে যায়। এতে অন্য শিশুরা অক্ষত থাকলেও মাইশার শরীরের বেশীর ভাগ অংশ পুড়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় মাইশাকে নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতালে নিলে তাকে ফরিদপুর শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে মাইশার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত্যুর কাছে হার মেনে সকলকে কাঁদিয়ে মাইশা চলে যায় না ফেরার দেশে।

মাইশারা দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে ছিলো মেঝো। শিশু মাইশার মরদেহ গ্রামের বাড়ীতে আনা হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

শনিবার সকালে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

নগরকান্দায় আগুন কেড়ে নিলো চার বছরের মাইশার প্রাণ

আপডেট টাইম : ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
বোরহানুজ্জামান আনিস, স্টাফ রিপোর্টার, নগরকান্দাঃ :

ফরিদপুরের নগরকান্দায় গ্যাস লাইটের আগুনে কেড়ে নিলো চার বছরের মাইশার প্রাণ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। মাইশা নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের ইব্রাহিম মাতুব্বরের শিশু কন্যা। শিশুটির পিতা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে গত ১৭ ডিসেম্বর শনিবার অবুজ শিশু মাইশাসহ আরো তিন শিশু গ্যাস লাইট নিয়ে খেলা করছিল। এ সময় গ্যাস লাইটের আগুন মাইশার পরনের কাপড়ে লেগে যায়। এতে অন্য শিশুরা অক্ষত থাকলেও মাইশার শরীরের বেশীর ভাগ অংশ পুড়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় মাইশাকে নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতালে নিলে তাকে ফরিদপুর শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে মাইশার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত্যুর কাছে হার মেনে সকলকে কাঁদিয়ে মাইশা চলে যায় না ফেরার দেশে।

মাইশারা দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে ছিলো মেঝো। শিশু মাইশার মরদেহ গ্রামের বাড়ীতে আনা হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

শনিবার সকালে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।


প্রিন্ট