মাগুরায় পুত্রবধুকে ধর্ষণ করতে যেয়ে জনতার হাতে আটক হয়ে গণপিটুনি খেয়ে শশুর এখন পুলিশের হাতে আটক।
মাগুরা সদরের কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের আমুড়িয়া যশকান্দি গুচ্ছ গ্রামে বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ভোর ৩.৩০ টার দিকে শশুর খোকন মোল্যা (৪৫) পুত্রবধুকে ধর্ষণ করতে গেলে তার ডাক চিৎকার শুনে পাশের লোকজন এসে শশুরকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে মাথার চুল কেটে মাগুরা সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ঘটনার পর ভিকটিমকে চিকিৎসা দিতে মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিম পুত্রবধু জনায়, আমার স্বামী কাজের জন্য বাড়িতে ছিলো না, শাশুড়ীও ঢাকায় একটি কাজের জন্য গিয়েছিলো। আমি আমার শশুরের খাবার তার রুমে রেখে দিয়ে আমি আমার ঘরে শুয়ে ছিলাম। সে বেড়া বেয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে কোন চেচামেচি করলে তোকে মেরে ফেলবো।
তোর মত কত গুলোকে মেরে নদীতে ড্রেনে ফেলে দিয়েছি,আমার কথা শোন আমার কাজ আমাকে করতে দে না হলে তোকেও মেরে ফেলবো। আমি তখন শশুরের হাতে কামড় দিয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে যায় তখন সে আমার গলা চিবে ধরে। আমার ঘুংড়ানি শুনে পাশের লোকজন এসে আমাকে তার হাত থেকে উদ্ধার করে। এই শশুর নামের নরপশুর আমি কঠিন শাস্তি চাই। যাতে আমার মত কেউ আর এ রকমের ঘটনার শীকার না হতে হয়।
খোকনের স্ত্রী রাশিদা বলেন সে (খোকন) খুব খারাপ লোক। বিভিন্ন বদমায়েশ মহিলা এনে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে দেহ ব্যবসা করায়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এর আগেও সে আখিরন নামে একটা মেয়ের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় মহম্মদপুরে ধরা খেয়ে মানুষের কাছে গণপিটুনি খেয়েছে। মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডাক্তার শামছুর নাহার লাইজু বলেন ভিকটিমের সকল কিছু আমরা দেখেছি। সে ৪ থেকে ৫ মাসের গর্ভবতী মনে হচ্ছে। আলামত সংগ্রহ করেছি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বোর্ডের মাধ্যমে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
|
এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার এসআই মাসুম বিল্লাহ বলেন খোকনকে লোকজন আটক করে পুলিশকে খবর দিলে আমি যেয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এখন মামলার জন্য কাগজপত্র রেডি করা হচ্ছে। খোকন মাগুরা মহম্মদপুরে উপজেলার বালিদিয়া ইউপির নিকড়হাটা গ্রামের আব্দুর রহমান মোল্যার পুত্র।সে রাশিদাকে বিয়ে করে গুচ্ছ গ্রামে স্ত্রীর সাথে থাকে রাশিদা আগের পক্ষের ছেলেকে নিয়ে তাকে (খোকন) বিয়ে করে একসাথে থাকে।