ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভাঙ্গা থানা দালাল মুক্ত

ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায় যোগদান করেই দালাল মুক্ত করার মিশন নিয়ে সফল হয়েছেন অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম ।
সেবা গ্রহীতার জন্য দরজা উম্মুক্ত করে সৃষ্টি করেন নতুন অধ্যায়। ইন্সপেক্টর হওয়ার পর জিয়ারুল ইসলাম অধিকাংশ সময় ফরিদপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকার থানায় কর্মরত ছিলেন। প্রায় ০৬মাস আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ব্যস্ততম ভাঙ্গা থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পর নিষ্ঠাবান এ কর্মকর্তা নিজের সততা, সাহসিকতা, উদারতা দিয়ে থানা বাসীর মন জয় করার চেষ্টা চালান।

আন্তরিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জল করেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করার পাশাপাশি থানার দরজা সকল বিপদগ্রস্থ মানুষের জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন ওসি জিয়ারুল ইসলাম ।

বর্তমানে থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই সাধারণ ডায়েরী, অভিযোগ ও মামলা অন্তর্ভূক্ত করতে পারছেন থানায়।সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুখে তার প্রসংশা। বর্তমানে সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক এবং অপরাধীর কাছে হয়ে উঠেছেন আতংক।

ওসি মুহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, যোগদান করার পর প্রথমই থানায় আসা সেবা গ্রহীতা ও বিপদ গ্রস্থ মানুষের জন্য আমার দরজা উম্মুক্ত করে দেই। যে কারণে কোন লোক নিয়ে আসতে হয়না। সরাসরি আমার সঙ্গে দেখা করে মনের কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছি। পুলিশ সুপারের নিদের্শে, মাদক নিয়ন্ত্রণে ও অপরাধ দমনে কাজ করছি। অসংখ্য অপরাধীকে গ্রেফতার করেছি।

ভাঙ্গায় সবচেয়ে বড় সমস্যা বিভিন্ন এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হানাহানি মারামারি।ইনসাআল্লাহ অনেকটা হানাহানি মারামারি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি। যতদিন ভাঙ্গায় থাকবো মাদকের বিরুদ্ধে, অপরাধ দমনে কাজ করবো। দালাল ও তদবির বাজদের প্রশ্রয় দিব না। সাধারণ মানুষের জন্য ওসির দরজা থাকবে উম্মুক্ত।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ভাঙ্গা থানা দালাল মুক্ত

আপডেট টাইম : ০৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায় যোগদান করেই দালাল মুক্ত করার মিশন নিয়ে সফল হয়েছেন অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম ।
সেবা গ্রহীতার জন্য দরজা উম্মুক্ত করে সৃষ্টি করেন নতুন অধ্যায়। ইন্সপেক্টর হওয়ার পর জিয়ারুল ইসলাম অধিকাংশ সময় ফরিদপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকার থানায় কর্মরত ছিলেন। প্রায় ০৬মাস আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ব্যস্ততম ভাঙ্গা থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পর নিষ্ঠাবান এ কর্মকর্তা নিজের সততা, সাহসিকতা, উদারতা দিয়ে থানা বাসীর মন জয় করার চেষ্টা চালান।

আন্তরিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জল করেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করার পাশাপাশি থানার দরজা সকল বিপদগ্রস্থ মানুষের জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন ওসি জিয়ারুল ইসলাম ।

বর্তমানে থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই সাধারণ ডায়েরী, অভিযোগ ও মামলা অন্তর্ভূক্ত করতে পারছেন থানায়।সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুখে তার প্রসংশা। বর্তমানে সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক এবং অপরাধীর কাছে হয়ে উঠেছেন আতংক।

ওসি মুহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, যোগদান করার পর প্রথমই থানায় আসা সেবা গ্রহীতা ও বিপদ গ্রস্থ মানুষের জন্য আমার দরজা উম্মুক্ত করে দেই। যে কারণে কোন লোক নিয়ে আসতে হয়না। সরাসরি আমার সঙ্গে দেখা করে মনের কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছি। পুলিশ সুপারের নিদের্শে, মাদক নিয়ন্ত্রণে ও অপরাধ দমনে কাজ করছি। অসংখ্য অপরাধীকে গ্রেফতার করেছি।

ভাঙ্গায় সবচেয়ে বড় সমস্যা বিভিন্ন এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হানাহানি মারামারি।ইনসাআল্লাহ অনেকটা হানাহানি মারামারি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি। যতদিন ভাঙ্গায় থাকবো মাদকের বিরুদ্ধে, অপরাধ দমনে কাজ করবো। দালাল ও তদবির বাজদের প্রশ্রয় দিব না। সাধারণ মানুষের জন্য ওসির দরজা থাকবে উম্মুক্ত।