কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের আজগর আলী বাবলু নামের একজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে ভূমি দস্যু ও মামলাবাজ বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমন অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নিজেকে ‘ভূমি দস্যু ও মামলাবাজ নই’ দাবি করেন আজগর আলী বাবলু মন্ডল।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় ভেড়ামারা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ কোদালিয়াপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি ও মাদ্রাসা-ঈদগাহ এবং বাজার কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আজগর আলী বাবলু মন্ডল।
একটি মহল অশুভ উদ্দেশ্য এবং হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আজগর আলী বাবলু মন্ডল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভূমি দস্যু ও মামলাবাজ বলে বিভিন্ন রকমের মিথ্যা অপবাদ ও অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আজগর আলী বাবলু মন্ডল বলেন, আমি বিজ্ঞ দেওয়ানি আদালতে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ৪ টি মামলা করি। এবং আমার বাবা ও নানীর ৪০ বিঘা জমি যারা কিনেছে বলে দাবি করছে এমন ১৩৫ জনের কাছে জমির শরিকানা নোটিশ আদালতের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। এটিকে পুঁজি করে একটি মহল হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আমাকে অসংখ্য মামলার বাদী ও ভূমি দস্যু বলে প্রচার ওবিভিন্ন রকমের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মো. আলফাজ, মো. রাজ্জাক, মো. শামছুল, মো. জিরামত, মো. সাইফুল ইসলাম সফা এরা আমার পরিবারের নামীয় জমি জোরপূর্বকভাবে ভোগদখল করায় আমি বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আদালতের সহায়তা নেওয়া যেকোনো ব্যক্তির আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকারকে খাটো করে আইনের আশ্রয় নেওয়া কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কটূক্তি করা কতটুকু সমীচীন।
এ বিষয়ে মো. রাজ্জাক বলেন, বাবলু মন্ডলের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। জমি নিয়ে মামলা এবং স্থানীয়দের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে বলে জেনেছি। বাবলু মন্ডল ১৫৪ জনকে নোটিশ করেছে বলে শুনেছি। হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এখানে অযথা আমাকে জড়ানো হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ মিথ্যা ও সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
ভেড়ামারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আকিবুল ইসলাম বলেন, বাবলু মন্ডল আদালতে মামলা করেছেন কিনা জানি না। আদালত থেকে তদন্তের জন্য থানাতে নথি এসেছে এমন তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত নেই বলে তিনি জানান।
প্রিন্ট