ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আমন ধানে এবার ফলন ভালো হয়েছে। দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির এই বাজারে আমন ধানে স্বস্তি ফিরিছে এই এলাকার কৃষকের মুখে। ফলন ভালো হয়েছে ধান কাটা ও মাড়ায়ের ধুম লেগেছে কৃষকদের বাড়ি। আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই চলছে পুরোদমে। মাঠের সোনালি ধান এখন ঘরে তুলতে শেষ সময় পার করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ১১হাজার ৫শত ৭৭ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। চলতি বছরের আমন চাষে প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়েছে উপজেলার কৃষকদের। কিন্তু বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কিষান-কৃষানিরা। মাঠজুড়ে সোনালি ধানের ম–ম গন্ধে মনের আনন্দে কাজ করছেন তাঁরা। কথা বলার মতো যেন ফুরসত নেই তাঁদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধান কেটে আঁটি বেঁধে রেখেছেন ক্ষেতের মাঝেই। পড়ন্ত বিকালে সেই আঁটি মাথায় কিংবা গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছেন কৃষকরা। বাড়িতে চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানতালে ব্যস্ত রয়েছে। বাড়ির উঠানে চলছে ধানমাড়াইয়ের কাজ। এসব ধান নিয়ে কৃষকের যেমন ব্যস্ততা, তেমনি আনন্দও লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকের বাড়িতে চলছে শীতের সকালে ভাপা, পুলি, তেল পিঠা, নতুন চালের পায়েস, নাড়ু ও মুড়ি তৈরির কাজ।
উপজেলার সালথা সদরের কৃষক মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন, গত সোমবার (২৪ আগস্ট) ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর সারাদিনের টানা বৃষ্টিতে ফসলের মাঠে পানি জমে গেছে তলিয়ে যাওয়ার পরেও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অগ্রহায়ণ মাসে পুরো ধান কাটা শুরু হলেও আগাম জাতের বিভিন্ন ধান কার্তিকের মাঝামাঝি সময়ে কাটা শুরু হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) জীবাংশু দাস জানান, এ বছর ১১৫৭৭ হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা হয়েছিল। ইতোমধ্যেই ৯৫ শতাংশ জমিতে কর্তন সম্পন্ন হয়েছে। সিত্রাং এর প্রভাব সামান্য পড়লেও সার্বিকভাবে ফলন ভালো হয়েছে। নতুন ধান কৃষকের মুখে হাসি ফোটাবে আশা করি।
প্রিন্ট