ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার গুজব রটিয়ে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেতলিয়ে দুই ভাই আরশাদুল ও আশরাফুল হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন ও ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার অজিত কুমার সরকারের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে বা কোন প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আর্থিক পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মধুখালীর ঘটনা নিয়ে প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান তালুকদার।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একজন পেশাগত অপরাধী। ইতিমধ্যে সে দুইবার বরখাস্ত হয়েছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বার তারা এখন পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছেন। এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রথমে মাগুরায় সনাক্ত করে। সেখানে ধরতে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে যশোরে তাদের সনাক্ত করলেও সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এরই মধ্যে এয়ারপোর্ট বর্ডার রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করে তারা যাতে কোন ভাবে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এ সময় এই চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে যেকোনো প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ইয়াসিন কবির, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামানন্দ পাল, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক চৌধুরী রওশন আলী, ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীম, ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদস্য বৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট