মাগুরা মহম্মাদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামের আবু বক্কার শেখ ওরফে ধনী বক্কারের লাশ বুধবার ৯ নভেম্বর অনুমান সকাল ১১ টার সময় ফরেনসিক পোষ্ট মর্টেমের (ময়না তদন্ত) জন্য কবর থেকে মৃতদেহ উত্তলন করা হয়েছে।
২০২২ সালের রবিবার ২ অক্টোবর রাতে হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করে তার স্ত্রী সীমা পারভীন তড়িঘড়ি করে দ্রুত ভাবে লাশটি মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নের ধোয়াইল গোরস্থানে দাফন করে।লাশ কবরের ১০ দিন পর ১১ অক্টোবর তার বড় পুত্র সাগর শেখ বাদী হয়ে মা সীমা পারভীন ও হিরক সহ ৫ জনের নামে মাগুরা জজ কোর্টে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলায় দায়ের আছে তার পিতা আবু বক্কারকে চেতনা নাশক ঔষধ সেবন ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ঐ মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে একজন ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসন ও গণ্যমাণ্য এলাকা বাসীর ব্যাক্তি গণের উপস্থিতিতে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য উত্তলন করা হয়। তার মৃত্যু কি স্বাভাবিক ছিল না হত্যা? এখন অপেক্ষা শুধু ময়না তদন্তের দিকে।
এ সময় শতশত উৎসুক জনতা গোরস্থানের আসে পাশে অবস্থান করে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের দৃশ্য দেখে। লাশ উত্তোলনের উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার ভূমি মহম্মদপুর ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট বাসুদেব কুমার মালো, ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার মাগুরা সদর হাসপাতাল (ইএমও) ডাঃ সৌরভ সাহা, মহম্মদপুর থারার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান, এসআই হাবিবুর সহ ৬-৭ পুলিশ সদস্য, বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ আঃ মান্নান, মাগুরা সদর হাসপাতালের লাশ ঘরের ডোম মানু কুমার ও বিজলী রাণী সহ প্রশাসনের সদস্য ও সাংবাদিক বৃন্দগণ।
সহকারী কমিশনার ভূমি ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট বাসুদেব কুমার মালো সাংবাদিকদের বলেন, মহামান্য বিজ্ঞ আদালত মাগুরা এর নির্দেশে মাগুরা সিভিল সার্জন এর প্রতিনিধির সহায়তায়, সাগর শেখ নিজের মৃত পিতার লাশের মামলার বাদী হয়। সেই মামলার সূত্র মোতাবেক আজকে ধোয়াইল সম্মিলিত গোরস্থান থেকে সাগর শেখ এর বাবার কবর শনাক্ত করে দেখায় এবং এলাকাবাসীর লোকজন ও গোরস্তানের হুজুর ও কবর খোড়া ব্যক্তিরা দেখায় এইটা আবু বক্কার ধনীর কবর।
সেই মোতাবেক কবরটি সাংবাদিকদের সামনে প্রশাসনের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় এবং মানু ডোম ও বিজলী রাণী ডোমের সহায়তায় লাশটি উত্তলোন করে সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়। এরপর লাশটির ময়না তদন্তের জন্য ও ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশকাটা মর্গে প্রেরণ করা হয়।
প্রিন্ট