ফরিদপুরের পৃথক দুটি ঘটনায় দুজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি ঘটনা নগরকান্দা ও অন্যটি সালথার।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় বীনা আক্তার (২১) নামের এক যুবতী গলায় ওড়না পেচিয়ে এবং সালথায় প্রেমিকার সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে হৃদয় রায় নামে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে বলে জানাগেছে।
আজ বুধবার সকালে হৃদয়ের লাশ ও বিকেলে বীনার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হৃদয় আগুলদিয়া গ্রামের কানাই লাল রায়ের একমাত্র ছেলে। সে পেশায় কামার ছিল।
নিহতের পরিবার জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হৃদয়ের মা পাশের গৌড়দিয়া গ্রামে একটি ধর্মীয় গানের অনুষ্ঠানে যান আর বাবা বাড়ির সামনে দোকানে চা খেতে যায়। রাত ১০ টার দিকে হৃদয়ের বাবা বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের মধ্যে সাউন্ডবক্সে গান বাজছে। অনেক ডাকাডাকি করে কোন আওয়াজ না পেয়ে ঘরের একটি ফুটো দিয়ে দেখেন ছেলের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফ্যান থেকে ঝুলন্ত লাশ নীচে নামায়।
প্রতিবেশীরা জানান, ছয়মাস আগে একই গ্রামে এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় হৃদয়। পরে স্থানয়ীরা তাদের উদ্ধার করে মিমাংসার মাধ্যমে মেয়েকে তার পরিবারের কাছে আর ছেলেকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়। এরপর আবারও ওই মেয়ের সঙ্গে হৃদয়ের প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার আগে হৃদয় ফোনে ওই মেয়ের সঙ্গে কথাকাকাটি করে ঘরের ভিতরে গিয়ে সাউন্ডবক্সে গান ছেড়ে দিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। হৃদয় প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
|
অন্যদিকে বুধবার বিকালে নগরকান্দার পৌরসভার মিরাকান্দা গ্রামের হালিম মাতুব্বরের মেয়ে বীনা আক্তার ঘরে আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্ম হত্যার করেছে মর্মে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন বলে এস আই বশির জানান। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট