ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ হাসপাতালে নেই ডাক্তার

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চক্ষুচিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।

ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিটি ক্লাসে পাঁচ-ছয়জন শিক্ষার্থী চোখ ওঠা ভাইরাসে আক্রান্ত। এটি ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় অভিভাবকদের ডেকে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়।

শহরের আলহেরা একাডেমী স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান খসরু জানান, ক্লাসে প্রতিদিন চোখ ওঠা শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে। তাদের পরামর্শ দিয়ে বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে।শহরের বাসিন্দা সুপ্রিয়া ফেরদৌসী বলেন, বাড়ির পাশে এক শিশু আক্রান্ত হয়। পরে আমার মেয়ে ও আমি আক্রান্ত হই। এরপর মেয়ের বাবাও আক্রান্ত হয়। শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে মেয়ে ও আমি চিকিৎসা নিয়েছি।

রায়টা গ্রামের জামে মসজিদের ঈমাম আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার পরিবারের শিশুসহ সবাই চোখ ওঠা ভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের প্রাইভেট ক্লিনিকে ডাক্তার দেখিয়েছি।ভেড়ামারা উপজেলা জুড়ে চোখ ওঠা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে জেলা শহর বা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে অসচ্ছল ও গরিব মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমিন বলেন, উপজেলার প্রায় সর্বত্র চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ রোগের লক্ষণ হলো, চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্থি ও চুলকানি হবে। তবে চিকিৎসা নিলে পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে এটি ভালো হয়ে যায়। রোগটি ছোঁয়াচের মতো।

পরিবারের একজনের হলে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ডা. নুরুল আমিন আরো বলেন, দীর্ঘদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চোখের চিকিৎসক নেই। তবে আমরা চোখ ওঠা রোগীর চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ হাসপাতালে নেই ডাক্তার

আপডেট টাইম : ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চক্ষুচিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।

ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিটি ক্লাসে পাঁচ-ছয়জন শিক্ষার্থী চোখ ওঠা ভাইরাসে আক্রান্ত। এটি ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় অভিভাবকদের ডেকে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়।

শহরের আলহেরা একাডেমী স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান খসরু জানান, ক্লাসে প্রতিদিন চোখ ওঠা শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে। তাদের পরামর্শ দিয়ে বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে।শহরের বাসিন্দা সুপ্রিয়া ফেরদৌসী বলেন, বাড়ির পাশে এক শিশু আক্রান্ত হয়। পরে আমার মেয়ে ও আমি আক্রান্ত হই। এরপর মেয়ের বাবাও আক্রান্ত হয়। শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে মেয়ে ও আমি চিকিৎসা নিয়েছি।

রায়টা গ্রামের জামে মসজিদের ঈমাম আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার পরিবারের শিশুসহ সবাই চোখ ওঠা ভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের প্রাইভেট ক্লিনিকে ডাক্তার দেখিয়েছি।ভেড়ামারা উপজেলা জুড়ে চোখ ওঠা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে জেলা শহর বা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে অসচ্ছল ও গরিব মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমিন বলেন, উপজেলার প্রায় সর্বত্র চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ রোগের লক্ষণ হলো, চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্থি ও চুলকানি হবে। তবে চিকিৎসা নিলে পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে এটি ভালো হয়ে যায়। রোগটি ছোঁয়াচের মতো।

পরিবারের একজনের হলে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ডা. নুরুল আমিন আরো বলেন, দীর্ঘদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চোখের চিকিৎসক নেই। তবে আমরা চোখ ওঠা রোগীর চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।


প্রিন্ট