কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চক্ষুচিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।
ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিটি ক্লাসে পাঁচ-ছয়জন শিক্ষার্থী চোখ ওঠা ভাইরাসে আক্রান্ত। এটি ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় অভিভাবকদের ডেকে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়।
শহরের আলহেরা একাডেমী স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান খসরু জানান, ক্লাসে প্রতিদিন চোখ ওঠা শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে। তাদের পরামর্শ দিয়ে বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে।শহরের বাসিন্দা সুপ্রিয়া ফেরদৌসী বলেন, বাড়ির পাশে এক শিশু আক্রান্ত হয়। পরে আমার মেয়ে ও আমি আক্রান্ত হই। এরপর মেয়ের বাবাও আক্রান্ত হয়। শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে মেয়ে ও আমি চিকিৎসা নিয়েছি।
রায়টা গ্রামের জামে মসজিদের ঈমাম আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার পরিবারের শিশুসহ সবাই চোখ ওঠা ভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের প্রাইভেট ক্লিনিকে ডাক্তার দেখিয়েছি।ভেড়ামারা উপজেলা জুড়ে চোখ ওঠা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে জেলা শহর বা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে অসচ্ছল ও গরিব মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমিন বলেন, উপজেলার প্রায় সর্বত্র চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ রোগের লক্ষণ হলো, চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্থি ও চুলকানি হবে। তবে চিকিৎসা নিলে পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে এটি ভালো হয়ে যায়। রোগটি ছোঁয়াচের মতো।
পরিবারের একজনের হলে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ডা. নুরুল আমিন আরো বলেন, দীর্ঘদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চোখের চিকিৎসক নেই। তবে আমরা চোখ ওঠা রোগীর চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha