ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

‘সুশাসন জাদুঘরে, গণতন্ত্র কফিনে বন্দি’

জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, দেশের সুশাসন এখন জাদুঘরে আর গণতন্ত্র কফিনে বন্দি। নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতায় দেশের মানুষ ভোটাধিকার হারিয়েছে।

পঙ্গু ও বিকলাঙ্গ নির্বাচন কমিশন পদে পদে ব্যর্থতার স্বাক্ষর রাখছে। প্রতিটি নির্বাচনে কুরুক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে।

রংপুরের পল্লী নিবাসে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পল্লী নিবাস চত্বরে এক বিশাল সমাবেশে রোববার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব।

জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নেতৃত্বে জাতীয় যুব সংহতির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির নেতারা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় মাজারে ফাতেহা পাঠ করে তারা পল্লীবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী নির্বাচনের পরিবেশ ভুলুণ্ঠিত করেছে, যেমনটা করেছিল বিএনপির সন্ত্রাসীরা। দেশের মানুষ আজ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না।

বাবলু বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বর্তমান সরকার। দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। তার ওপর করোনাকালে আরো দেড় কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছে। তাই দেশের মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বর্ণযুগ ফিরে পেতে চায়। তারা একবুক আশা নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে উন্নয়ন ও সুশাসন এক সাথে নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন।

পল্লীবন্ধু মানুষের ভাগ্য পরির্বতনের রাজনীতি করতেন। জাতীয় পার্টির শাসনামলে যমুনা ব্রিজ, কর্ণফুলী ব্রিজসহ অসংখ্য ব্রিজ ও পাকা সড়ক নির্মাণ করেছেন। মহাখালী ফ্লাইওভারের কাজ পল্লীবন্ধুর শাসনামলেই শুরু হয়েছিল।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, শত বছরের ইংরেজদের উপনিবেশিক ব্যবস্থা ভেঙে উপজেলা পরিষদ নির্মাণ করে মানুষের মৌলিক অধিকার দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এলজিইডি প্রতিষ্ঠা করে দেশের উন্নয়নে অসাধারণ উন্নয়ন নিশ্চিত করেছিলেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ছিল না জাতীয় পার্টির শাসনামলে। জাতীয় পার্টিতে এখন আর কোনো বিভেদ নেই। সারা দেশে জাতীয় পার্টি এখন দারুণভাবে সংগঠিত।

আগামী দিনে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় পার্টি দুর্বার বেগে এগিয়ে যাচ্ছে।

জাতীয় যুবসংহতির আহ্বায়ক হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আহাদ ইউ শাহীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, এসএম ইয়াসির, যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক এ আদেল, হেলাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জুলফিকার হোসেন, হেলাল উদ্দিন, জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, ফজলুল হক ফজলু, সাইফুল ইসলাম, আফজাল হোসেন হারুন, শেখ মো. সরোয়ার হোসেন, দ্বীন ইসলাম শেখ, রাজা হোসেন রাজা, মুশফিকুর রহমান, এমদাদুল হক রুমন, আলতাফ হোসেন, ওয়ার্সিউর রহমান দোলন, যুবসংহতি রংপুর জেলা সভাপতি নাজিম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবসংহতি মহানগর সভাপতি মো. জাকির, সাধারণ সম্পাদক শান্তি কাদেরী।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ

error: Content is protected !!

‘সুশাসন জাদুঘরে, গণতন্ত্র কফিনে বন্দি’

আপডেট টাইম : ০৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, দেশের সুশাসন এখন জাদুঘরে আর গণতন্ত্র কফিনে বন্দি। নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতায় দেশের মানুষ ভোটাধিকার হারিয়েছে।

পঙ্গু ও বিকলাঙ্গ নির্বাচন কমিশন পদে পদে ব্যর্থতার স্বাক্ষর রাখছে। প্রতিটি নির্বাচনে কুরুক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে।

রংপুরের পল্লী নিবাসে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পল্লী নিবাস চত্বরে এক বিশাল সমাবেশে রোববার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব।

জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নেতৃত্বে জাতীয় যুব সংহতির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির নেতারা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় মাজারে ফাতেহা পাঠ করে তারা পল্লীবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী নির্বাচনের পরিবেশ ভুলুণ্ঠিত করেছে, যেমনটা করেছিল বিএনপির সন্ত্রাসীরা। দেশের মানুষ আজ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না।

বাবলু বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বর্তমান সরকার। দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। তার ওপর করোনাকালে আরো দেড় কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছে। তাই দেশের মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বর্ণযুগ ফিরে পেতে চায়। তারা একবুক আশা নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে উন্নয়ন ও সুশাসন এক সাথে নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন।

পল্লীবন্ধু মানুষের ভাগ্য পরির্বতনের রাজনীতি করতেন। জাতীয় পার্টির শাসনামলে যমুনা ব্রিজ, কর্ণফুলী ব্রিজসহ অসংখ্য ব্রিজ ও পাকা সড়ক নির্মাণ করেছেন। মহাখালী ফ্লাইওভারের কাজ পল্লীবন্ধুর শাসনামলেই শুরু হয়েছিল।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, শত বছরের ইংরেজদের উপনিবেশিক ব্যবস্থা ভেঙে উপজেলা পরিষদ নির্মাণ করে মানুষের মৌলিক অধিকার দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এলজিইডি প্রতিষ্ঠা করে দেশের উন্নয়নে অসাধারণ উন্নয়ন নিশ্চিত করেছিলেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ছিল না জাতীয় পার্টির শাসনামলে। জাতীয় পার্টিতে এখন আর কোনো বিভেদ নেই। সারা দেশে জাতীয় পার্টি এখন দারুণভাবে সংগঠিত।

আগামী দিনে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় পার্টি দুর্বার বেগে এগিয়ে যাচ্ছে।

জাতীয় যুবসংহতির আহ্বায়ক হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আহাদ ইউ শাহীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, এসএম ইয়াসির, যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক এ আদেল, হেলাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জুলফিকার হোসেন, হেলাল উদ্দিন, জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, ফজলুল হক ফজলু, সাইফুল ইসলাম, আফজাল হোসেন হারুন, শেখ মো. সরোয়ার হোসেন, দ্বীন ইসলাম শেখ, রাজা হোসেন রাজা, মুশফিকুর রহমান, এমদাদুল হক রুমন, আলতাফ হোসেন, ওয়ার্সিউর রহমান দোলন, যুবসংহতি রংপুর জেলা সভাপতি নাজিম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবসংহতি মহানগর সভাপতি মো. জাকির, সাধারণ সম্পাদক শান্তি কাদেরী।