শরতের শুরুতেই কাঁশ ফুলের নৈস্বর্গীক সৌন্দর্যে নান্দনিক হয়ে উঠেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পূর্বপাশ দিয়ে রয়ে চলা মধুমতীর দু’কুল। কাঁশ ফুলের সাঁদা পাঁপড়িতে সাজিয়ে তুলেছে প্রকৃতি। নতুন সাজে সেঁজেছে শরৎ ঋতু। বদলে গেছে নদী তীরের পরিবেশ।
এসময় ভোরে হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনি বার্তা। শরৎ ঋতুর প্রতিক কাঁশ ফুলের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে আসেন শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ নানা শ্রেনিপেশার মানুষ।
ঋতু বৈচিত্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বৈচিত্রময় নদীমাতৃক বাংলাদেশ। বর্ষার বিদায়ে শরৎ ঋতুর শুরুতেই ঐতিহ্যে গাথা সাঁদা পাঁপড়িতে নতুন সাজে সেজে ওঠে প্রকৃতি। এতে প্রকৃতিপ্রেমীরা কাব্যিক হয়ে ওঠেন।
শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন মধুমতীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, নদীর দুই ধার ফুলে ফুলে সাদা। জীবিকার তাগিদে ডিঙি নৌকায় মাছের সন্ধানে জেলেদের অভিরাম ছুটে চলা। নদীর পাড়ে কৃষকের গরু-ছাগল চরানোর দূশ্য। সোঁনালী আঁশ পাট ধোয়ার কাজে ব্যাস্ত এলাকার কৃষকেরা।
সব মিলে এ যেন এক অপরুপ স্বর্গীয় সৌন্দর্য। কাঁশ ফুলের সৌন্দর্যের পাশাপাশি এসব দূশ্যও উপভোগ করতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সি শতশত মানুষ আসে মধুমতির তীরে। প্রকৃতিতে শরত আসে নতুন রুপ নিয়ে। আর কাঁশফুল যেন শরতের রুপের প্রসাধনী। আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘের ভেলা। মেঘের ফাঁক দিয়ে দেখা যায় স্বচ্ছ নীল আকাশ। ভোরে হালকা শিশির আর কুয়াশা জানান দেয় শীতের আগমনী বার্তা।
দুরাগত প্রকৃতিপ্রেমী শিউলি ও অঞ্জনা জানান, নীল আকাশের নীচে সাদা কাঁশবন প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে অপরুপ ভাবে। মনকে প্রফুল্ল রাখতে বিকেলের অবসরে নীল সাদার অপরুপ সৌন্দর্য দেখেতে ছুটে আসি এখানে। শরিফুল ইসলাম নামের এক কলেজ শিক্ষক বলেন, দিনে দিনে ঋতু তার বৈচিত্র হারাতে শুরু করেছে। পাল্টে যাচ্ছে গ্রামবাংলার প্রকৃতি। পাড়ের মাটি বিলীন হওয়ায় ভারসাম্য হারাচ্ছে নদী। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে। সোনিয়া নামের এক কলেজ ছাত্রী বলেন, প্রকৃতিতে যে শরত এসেছে তা কাশফুল না ফুটলে টেরই পাওয়া যেত না।
নদীর পাড়ে ফোসকা বিক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, সারাদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে। তবে বিকালে প্রচুর লোক হয়। শেখ হাসিনা ব্রিজ বা নদীর পাশে ফোসকা, বাদাম, চটপটি, আইসক্রিম, পেয়ারাসহ নানা ধরনের মালামাল বিক্রি করে সংসার চলে আমার মতো প্রায় একশ পরিবারের।
প্রিন্ট