মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীতে গ্রামীণ উৎসবের নৌকা বাইচ উপভোগে নদীর দুই তীরে হাজারো মানুষের ঢল নামে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মধুমতি নদীতে জমজমাট ওই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আগত আমুদে দর্শকরা আনন্দঘন ও উৎসব মুখরতার মধ্যদিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। এদিন সকাল থেকেই আমুদে দর্শকরা নদীর দুই তীরে এসে জড়ো হতে থাকেন।
সবারই উদ্দেশ্য-দু’চোখ ভরে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ উপভোগ করা। শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষসহ সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের সরব উপস্থিতিতে নদীর দুই তীর উপচে পড়ে।
এদিন দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে লোকজ ঐতিহ্য এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। মেলা কমিটির সভাপতি এম. রেজাউল করিম চুন্নুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমবায় মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ড. তরুণ কান্তি শিকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল, মেলার আয়োজক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন এবং মহম্মদপুর থানার ওসি অসিত কুমার রায় প্রমূখ।
বেলা সোয়া তিনটায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। চড়ন্দারের ঘঁণ্টার টং টং আওয়াজের তালে তাল মিলিয়ে বাইচাররা বইঠা টানছেন হেলেদুলে। তখন বৈঠার ছন্দ এই জনপদের মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। আশে পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৫ টি সুসজ্জিত বাইচের নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে।
এ মেলার মূল আকর্ষণ নৈাকাবাইচ প্রতিযোগিতা। শিশুদের বিনোদনের জন্য থাকে নানা ব্যবস্থা। মেলার আশপাশের গ্রামগুলোতে কয়েকদিন আগে থেকেই পরিনত হয়েছে উৎসবের আমেজে। মেলাকে ঘিরে এসব গ্রামে জামাই আদর রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
ঈদে না হলেও অন্তত মেলা উপলক্ষে জামাই-মেয়েকে দাওয়াত দেওয়া হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, মেলা এলাকায় বিক্রেতারা নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছে।
তিন-চার দিন আগে থেকেই তারা দোকান নিয়ে বসে আছেন। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর কেনা-বেচাও ভালো হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। প্রতিযোগিতা শেষে সন্ধায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রিন্ট