ঢাকা , শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দৌলতপুর গাছে ঝুলছিল বাকপ্রতিবন্ধী নারীর বিবস্ত্র মরদেহ Logo বালিয়াকান্দিতে মনি মুকুর কিন্ডার গার্টেনের দুই দিনব্যাপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন Logo বোয়ালমারীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত Logo দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে ৭ বাংলাদেশী আটক Logo ফরিদপুরে ৩১ দফার সমর্থনে বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল Logo শিবগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করল বিএসএফ Logo রতনদিয়া ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সম্মেলন সিরাজুল সভাপতিঃ আক্তার সাধারন সম্পদক Logo রায়পুরায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, গুলিতে নারী নিহত Logo ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে লিফলেট বিতরণের অভিযোগে জেলা যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo ফরিদপুর-৪ আসনের বিভিন্ন মাদরাসায় মাওলানা মিজান মোল্লার অনুদান প্রদান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

উৎসব আর আয়োজনে পালিত হচ্ছে দুর্গা মহোৎসব

-ছবিঃ প্রতীকী।

সারা দেশের ন্যায় এবারও ফরিদপুর জেলা জুড়ে চলছে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব।প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালীসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলাম্বীদের মহাপবিত্র শারদীয় দুর্গোৎসব।

প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানের মধ্যে উৎসব সম্পন্ন হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে সারা বিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাস ঝুকি কাটিয়ে উঠতে এবারও পূজায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও দর্শণার্থী ভক্তদের সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে। এছাড়াও দূর্গা পূজার অঞ্জলি থেকে বির্সজন সর্বক্ষেত্রে অনুষ্ঠানের পরিবর্তন এসেছে। দীর্ঘ সময় করোনা মহামারীর কারণে সনাতনী ধর্মীয় এই বৃহৎ উৎসব গত বছরের থেকে এবার একটু আলাদা আয়োজনে থাকছে পূর্বের মতোই আলোক সজ্জা, মেলার আয়োজন থাকছে মন্দির সংলগ্ন খোলা জায়গায়।

এরই মধ্যে জেলার ৭৮৪ টি দুর্গা পূজামন্ডপে শিল্পীদের নিপুণ কর্মছোঁয়ায় উজ্জলতর হয়ে উঠেছে তাদের অপূর্ব সৃষ্টিশৈলী। মা অভয়া-দুর্গতিনাশিনী মহিশাসুর বধিনী, ক্লেশ বিনাশিনী মহাশক্তি রূপিনী মঙ্গলাময়ী সর্বকালের সব মানুষের হয়ে আগমণের মাধ্যমে ১ অক্টোবর শনিবার উলুধ্বণি, শাঁখের বাজনা আর ঢাকের উত্তাল শব্দের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবী বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস।

ক্ষুধা, দারিদ্র, অন্যায়, নিপীড়ন ও করোনা নামক মহামারীর এই পৃথিবীতে মানব কুলকে পরিত্রানার্থে দেবী দুর্গার আগমণ।
এবার দুর্গা মায়ের আগমন ও প্রস্থান ঘটবে আলাদা আলাদা বাহনে। দেবী দূর্গা এবার গজে (হাতি) চড়ে আসবেন মর্ত্যলোকে, “ফল: শস্যপূর্ণা”। আর নৌকায় আরোহন করে তিনি কৈলাশ পর্বতে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন “ফল: শস্যবৃদ্ধি”।

এর আগে বিভিন্ন পূজা অর্চনার মধ্যদিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দূর্গা মত্যলোকে আগমণ ঘটে।
একে একে ১ অক্টোবর শনিবার ষষ্ঠীতে দেবী দূর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলাম্বীদের সর্ব বৃহৎ পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।

২ অক্টোবর রোববার মহাসপ্তমী, ৩ অক্টোবর সোমবার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা, ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার মহানবমী এবং ৫ অক্টোবর বুধবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই বর্ণিল উৎসব।
এ বছর প্রশাসনের ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৫ অক্টোবর রাত ৮ টার মধ্যে বিসর্জন শেষ করতে হবে। এবারের উৎসব স্থলে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সিসি টিভি (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা)।

ইতোমধ্যে প্রতিটি থানায় প্রশাসনের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বিষয়ক সভা এবং প্রতিটি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বোয়ালমারী পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি শ্যামল সাহা এ বিষয়ে বলেন- ‘সরকারের সকল বিভাগ বিশেষ করে প্রশাসন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে যথেষ্ট সচেতন রয়েছেন। সার্বক্ষণিক তারা আমাদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক তাদের পাশে থেকে নিরাপত্তা বলয় আরো শক্তিশালী করবে। সে কারণে সকলে নির্বিঘেœ উৎসব পালন করবেন বলে আমার বিশ্বাস’।

জেলার বোয়ালমারী ১২৫ টি, মধুখালী ১৫৫ টি, আলফাডাঙ্গা ৪৮ টি, চরভদ্রাসন ১৮ টি, নগরকান্দা ৬৪ টি, ভাঙ্গা ৯৪, সালথা ৪০ টি, সদরপুর ৪৩ টি এবং ফরিদপুর সদর ১৯৭ টি সহ মোট ৭৮৪ টি শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারী অনুদান, সহযোগিতা ও স্বাস্থবিধি মেনে নিরাপত্তার সকল আয়োজন সমাপ্ত হয়েছে বলে স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জগণ (ওসি) নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে আমাদের বিভিন্ন উপজেলার প্রতিনিধিগণের পাঠানো তথ্য নিয়ে ডেস্ক রিপোর্টঃ

বোয়ালমারী পৌর প্রতিনিধিঃ বোয়ালমারী থানাসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এবছর অধিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২৫ টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে ঘোষপুর ইউনিয়নে ১৬ টি, সাতৈর ইউনিয়নে ১৩ টি, দাদপুর ইউনিয়নে ১১ টি, বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নে ৭ টি, চতুল ইউনিয়নে ১০ টি, পরমেশ্বরর্দী ইউনিয়নে ১৮ টি, শেখর ইউনিয়নে ১৯ টি, রূপাপাত ইউনিয়নে ১৬ টি, ময়না ইউনিয়নে ৬ টি, গুণবহা ইউনিয়নে ৩ টি এবং বোয়ালমারী পৌরসভার ৬ টি পূজা মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বোয়ালমারী থানার পুলিশের উপ পরিদর্শক আক্কাস আলী।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্যামল সাহা বলেন, মায়ের আরাধনায় সনাতনী মহল্লায় বিন্দুমাত্র সন্দেহ সংশয় নেই।

সাগর চক্রবর্তী (মধুখালী) ঃ আমাদের মধুখালী প্রতিনিধি জানান, এ বছর উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ১৫৫ টি পূজামন্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে আড়পাড়া ইউনিয়নে ৮ টি, বাগাট ইউনিয়নে ১৩ টি, কামারখালী ইউনিয়নে ১১ টি, মেঘচামী ইউনিয়নে ২৬ টি, ডুমাইন ইউনিয়নে ১৩ টি, জাহাপুর ইউনিয়নে ৭ টি, রায়পুর ইউনিয়নে ১৪ টি, গাজনা ইউনিয়নে ১৫ টি, নওপাড়া ইউনিয়নে ১৬ টি, কোড়কদী ইউনিয়নে ১৭ টি ও কামালদিয়া ইউনিয়নে ৪ ও মধুখালী পৌরসভার ১১ টি পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মধুখালী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মো. ইকবাল হোসেন (আলফাডাঙ্গা)ঃ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবির কুমার বিশ্বাস বলেন, বরাবরের মত এবছরও প্রশাসন শারদীয় উৎসব নির্বিগ্নে পালনে সর্ব প্রকার সহযোগীতা করবেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান- উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় মোট ৪৮ টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নে ৯ টি, বানা ইউনিয়নে ৮ টি, বুড়াইচ ইউনিয়নে ২ টি, গোপালপুর ইউনিয়নে ২ টি, পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নে ৬ টি, টগরবন্দ ইউনিয়নে ১০ টি এবং আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় ১১ টি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো: ওয়াহিদুজ্জামান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বোরহান আনিস, নগরকান্দা ঃ নগরকান্দায় এ বছর পূজা উদযাপন পরিষদের কোন কমিটি না থাকায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অধীনে জেলা কমিটির সদস্য গৌতম ত্রিবেদী নগরকান্দার পূজা উদযাপন পরিষদের দায়িত্ব পালন করবেন। এবছর নগরকান্দা উপজেলার ১ টি পৌরসভা সহ ৯ টি ইউনিয়নে মোট ৬৪ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নগরকান্দা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক প্রকাশ বোষ জানিয়েছেন, উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নে ৬ টি, তালমা ইউনিয়নে ১২ টি, ফুলসূতি ইউনিয়নে ৫ টি, ডাঙ্গী ইউনিয়নে ৪ টি, রামনগর ইউনিয়নে ৭ টি, কাইচাইল ইউনিয়নে ২ টি, চরযোশরদী ইউনিয়নে ৮ টি, পুড়াপাড়া ইউনিয়নে ৭ টি, এবং নগরকান্দা পৌরসভায় ১৩ টি দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নে কোন দূর্গাপূজা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধি।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: হাবিল হোসেন বলেন- শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি মন্দিরে আমাদের অফিসারদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা টিম কাজ করছে।
এফ.এম. আজিজুর রহমান, সালথা প্রতিনিধি ঃ এদিকে সালথা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুপ কুমার সাহা জানিয়েছেন, এবছর সালথা উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ৪০ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সালথা থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক সৈয়দ আওলাদ হোসেন জানান, ভাওয়াল ইউনিয়নে ৪ টি, রামকান্তপুর ইউনিয়নে ২ টি, আটঘর ইউনিয়নে ৭ টি, সোনাপুর ইউনিয়নে ১ টি, যদুনন্দী ইউনিয়নে ৭ টি, গোট্টী ইউনিয়নে ১২ টি, মাঝারদিয়া ইউনিয়নে ৩ টি ও বল্লভদী ইউনিয়নে ৪ টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শেখ সাদিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মাহমুদুর রহমান তুরান (ভাঙ্গা) ঃ ভাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো: জিয়ারুল ইসলাম জানান, সেখানে ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা মিলে মোট ৯৪ টি পূজা মন্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ভাঙ্গা থানার পুলিশের উপ পরিদর্শক আব্দুল মোমিন জানান, ভাঙ্গা পৌরসভা ১৮ টি, হামিরদী ইউনিয়নে ৫ টি, ঘারুয়া ৪ টি, চুমুরদী ইউনিয়নে ৯ টি, আলগী ৩ টি, তুজারপুর ৯ টি, মানিকদহ ৪ টি, নুরুল্লাহগঞ্জ ৪ টি, নাসিরাবাদ ৫ টি, কাউলিবেড়া ৯ টি, আজিমনগর ৫ টি, চান্দরা ইউনিয়নে ১০ টি এবং কালামৃধা ইউনিয়নে ৯ টি সহ মোট ৯৪ টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উদযাপনে নিরাপত্তায় সকল প্রকার ব্যবস্থা পুলিশ প্রশাসন গ্রহন করেছে।

মো: হুমায়ুন কবির, তুহিন, (সদরপুর)ঃ সদরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সুব্রত গোলদার জানান, সেখানে ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ টি ইউনিয়নে ৪৩ টি পূজামন্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ১১ টি, আকটেরচর ইউনিয়নে ৬ টি, ভাষানচর ইউনিয়নে ৫ টি, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ৯ টি, সদরপুর ইউনিয়নে ৯ টি, ঢেউখালী ইউনিয়নে ৩ টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

মো. মুস্তাফিজুর রহমান (চরভদ্রাসন)ঃ চরভদ্রাসন থানা সূত্রে জানা যায়, সেখানে ৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে ২ টি ইউনিয়নে ১৮ টি পূজা মন্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। চরভদ্রাসন থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ আওলাদ হোসেন জানান, চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নে ৮ টি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং গাজিরটেক ইউনিয়নে ১০ টি পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন পূজামন্ডপের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য পুলিশ ও গ্রাম্য চৌকিদার ছাড়াও অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রতি মন্ডপে বাড়তি আনছার ও ভিডিপি সদস্যদের বাড়তি টহল থাকবে।

চরভদ্রাসন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রবিন্দ্র নাথ টিকাদার বলেন, মায়ের আরাধনায় নিরাপত্তার সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন প্রশাসন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বলেন, এবার করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফরিদপুর জেলা সহ দেশের সকল জেলায় দূর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হবে বলে আশা রাখছি।

ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জানান, শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনে সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রশাসন, এমনটি দাবি তার। তিনি জানান, বিগত সময়ে ন্যায় সকলের সহযোগিতা পেলে এবারের পূজাও উৎসবমূখর ও আনন্দময় হয়ে উঠবে। মায়ের আরাধনার মধ্যে দিয়ে সমগ্র স¤প্রদায় বিশ্বমানব এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মায়ের কৃপা লাভে প্রার্থনা করা হবে এমনটি জানালেন প্রায় প্রতিটি মন্দিরের পুরোহিতগণ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দৌলতপুর গাছে ঝুলছিল বাকপ্রতিবন্ধী নারীর বিবস্ত্র মরদেহ

error: Content is protected !!

উৎসব আর আয়োজনে পালিত হচ্ছে দুর্গা মহোৎসব

আপডেট টাইম : ০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক রিপোর্টঃ :

সারা দেশের ন্যায় এবারও ফরিদপুর জেলা জুড়ে চলছে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব।প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালীসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলাম্বীদের মহাপবিত্র শারদীয় দুর্গোৎসব।

প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানের মধ্যে উৎসব সম্পন্ন হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে সারা বিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাস ঝুকি কাটিয়ে উঠতে এবারও পূজায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও দর্শণার্থী ভক্তদের সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে। এছাড়াও দূর্গা পূজার অঞ্জলি থেকে বির্সজন সর্বক্ষেত্রে অনুষ্ঠানের পরিবর্তন এসেছে। দীর্ঘ সময় করোনা মহামারীর কারণে সনাতনী ধর্মীয় এই বৃহৎ উৎসব গত বছরের থেকে এবার একটু আলাদা আয়োজনে থাকছে পূর্বের মতোই আলোক সজ্জা, মেলার আয়োজন থাকছে মন্দির সংলগ্ন খোলা জায়গায়।

এরই মধ্যে জেলার ৭৮৪ টি দুর্গা পূজামন্ডপে শিল্পীদের নিপুণ কর্মছোঁয়ায় উজ্জলতর হয়ে উঠেছে তাদের অপূর্ব সৃষ্টিশৈলী। মা অভয়া-দুর্গতিনাশিনী মহিশাসুর বধিনী, ক্লেশ বিনাশিনী মহাশক্তি রূপিনী মঙ্গলাময়ী সর্বকালের সব মানুষের হয়ে আগমণের মাধ্যমে ১ অক্টোবর শনিবার উলুধ্বণি, শাঁখের বাজনা আর ঢাকের উত্তাল শব্দের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবী বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস।

ক্ষুধা, দারিদ্র, অন্যায়, নিপীড়ন ও করোনা নামক মহামারীর এই পৃথিবীতে মানব কুলকে পরিত্রানার্থে দেবী দুর্গার আগমণ।
এবার দুর্গা মায়ের আগমন ও প্রস্থান ঘটবে আলাদা আলাদা বাহনে। দেবী দূর্গা এবার গজে (হাতি) চড়ে আসবেন মর্ত্যলোকে, “ফল: শস্যপূর্ণা”। আর নৌকায় আরোহন করে তিনি কৈলাশ পর্বতে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন “ফল: শস্যবৃদ্ধি”।

এর আগে বিভিন্ন পূজা অর্চনার মধ্যদিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দূর্গা মত্যলোকে আগমণ ঘটে।
একে একে ১ অক্টোবর শনিবার ষষ্ঠীতে দেবী দূর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলাম্বীদের সর্ব বৃহৎ পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।

২ অক্টোবর রোববার মহাসপ্তমী, ৩ অক্টোবর সোমবার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা, ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার মহানবমী এবং ৫ অক্টোবর বুধবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই বর্ণিল উৎসব।
এ বছর প্রশাসনের ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৫ অক্টোবর রাত ৮ টার মধ্যে বিসর্জন শেষ করতে হবে। এবারের উৎসব স্থলে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সিসি টিভি (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা)।

ইতোমধ্যে প্রতিটি থানায় প্রশাসনের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বিষয়ক সভা এবং প্রতিটি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বোয়ালমারী পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি শ্যামল সাহা এ বিষয়ে বলেন- ‘সরকারের সকল বিভাগ বিশেষ করে প্রশাসন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে যথেষ্ট সচেতন রয়েছেন। সার্বক্ষণিক তারা আমাদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক তাদের পাশে থেকে নিরাপত্তা বলয় আরো শক্তিশালী করবে। সে কারণে সকলে নির্বিঘেœ উৎসব পালন করবেন বলে আমার বিশ্বাস’।

জেলার বোয়ালমারী ১২৫ টি, মধুখালী ১৫৫ টি, আলফাডাঙ্গা ৪৮ টি, চরভদ্রাসন ১৮ টি, নগরকান্দা ৬৪ টি, ভাঙ্গা ৯৪, সালথা ৪০ টি, সদরপুর ৪৩ টি এবং ফরিদপুর সদর ১৯৭ টি সহ মোট ৭৮৪ টি শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারী অনুদান, সহযোগিতা ও স্বাস্থবিধি মেনে নিরাপত্তার সকল আয়োজন সমাপ্ত হয়েছে বলে স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জগণ (ওসি) নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে আমাদের বিভিন্ন উপজেলার প্রতিনিধিগণের পাঠানো তথ্য নিয়ে ডেস্ক রিপোর্টঃ

বোয়ালমারী পৌর প্রতিনিধিঃ বোয়ালমারী থানাসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এবছর অধিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২৫ টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে ঘোষপুর ইউনিয়নে ১৬ টি, সাতৈর ইউনিয়নে ১৩ টি, দাদপুর ইউনিয়নে ১১ টি, বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নে ৭ টি, চতুল ইউনিয়নে ১০ টি, পরমেশ্বরর্দী ইউনিয়নে ১৮ টি, শেখর ইউনিয়নে ১৯ টি, রূপাপাত ইউনিয়নে ১৬ টি, ময়না ইউনিয়নে ৬ টি, গুণবহা ইউনিয়নে ৩ টি এবং বোয়ালমারী পৌরসভার ৬ টি পূজা মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বোয়ালমারী থানার পুলিশের উপ পরিদর্শক আক্কাস আলী।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্যামল সাহা বলেন, মায়ের আরাধনায় সনাতনী মহল্লায় বিন্দুমাত্র সন্দেহ সংশয় নেই।

সাগর চক্রবর্তী (মধুখালী) ঃ আমাদের মধুখালী প্রতিনিধি জানান, এ বছর উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ১৫৫ টি পূজামন্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে আড়পাড়া ইউনিয়নে ৮ টি, বাগাট ইউনিয়নে ১৩ টি, কামারখালী ইউনিয়নে ১১ টি, মেঘচামী ইউনিয়নে ২৬ টি, ডুমাইন ইউনিয়নে ১৩ টি, জাহাপুর ইউনিয়নে ৭ টি, রায়পুর ইউনিয়নে ১৪ টি, গাজনা ইউনিয়নে ১৫ টি, নওপাড়া ইউনিয়নে ১৬ টি, কোড়কদী ইউনিয়নে ১৭ টি ও কামালদিয়া ইউনিয়নে ৪ ও মধুখালী পৌরসভার ১১ টি পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মধুখালী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মো. ইকবাল হোসেন (আলফাডাঙ্গা)ঃ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবির কুমার বিশ্বাস বলেন, বরাবরের মত এবছরও প্রশাসন শারদীয় উৎসব নির্বিগ্নে পালনে সর্ব প্রকার সহযোগীতা করবেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান- উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় মোট ৪৮ টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নে ৯ টি, বানা ইউনিয়নে ৮ টি, বুড়াইচ ইউনিয়নে ২ টি, গোপালপুর ইউনিয়নে ২ টি, পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নে ৬ টি, টগরবন্দ ইউনিয়নে ১০ টি এবং আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় ১১ টি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো: ওয়াহিদুজ্জামান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বোরহান আনিস, নগরকান্দা ঃ নগরকান্দায় এ বছর পূজা উদযাপন পরিষদের কোন কমিটি না থাকায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অধীনে জেলা কমিটির সদস্য গৌতম ত্রিবেদী নগরকান্দার পূজা উদযাপন পরিষদের দায়িত্ব পালন করবেন। এবছর নগরকান্দা উপজেলার ১ টি পৌরসভা সহ ৯ টি ইউনিয়নে মোট ৬৪ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নগরকান্দা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক প্রকাশ বোষ জানিয়েছেন, উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নে ৬ টি, তালমা ইউনিয়নে ১২ টি, ফুলসূতি ইউনিয়নে ৫ টি, ডাঙ্গী ইউনিয়নে ৪ টি, রামনগর ইউনিয়নে ৭ টি, কাইচাইল ইউনিয়নে ২ টি, চরযোশরদী ইউনিয়নে ৮ টি, পুড়াপাড়া ইউনিয়নে ৭ টি, এবং নগরকান্দা পৌরসভায় ১৩ টি দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নে কোন দূর্গাপূজা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধি।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: হাবিল হোসেন বলেন- শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি মন্দিরে আমাদের অফিসারদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা টিম কাজ করছে।
এফ.এম. আজিজুর রহমান, সালথা প্রতিনিধি ঃ এদিকে সালথা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুপ কুমার সাহা জানিয়েছেন, এবছর সালথা উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ৪০ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সালথা থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক সৈয়দ আওলাদ হোসেন জানান, ভাওয়াল ইউনিয়নে ৪ টি, রামকান্তপুর ইউনিয়নে ২ টি, আটঘর ইউনিয়নে ৭ টি, সোনাপুর ইউনিয়নে ১ টি, যদুনন্দী ইউনিয়নে ৭ টি, গোট্টী ইউনিয়নে ১২ টি, মাঝারদিয়া ইউনিয়নে ৩ টি ও বল্লভদী ইউনিয়নে ৪ টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শেখ সাদিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মাহমুদুর রহমান তুরান (ভাঙ্গা) ঃ ভাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো: জিয়ারুল ইসলাম জানান, সেখানে ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা মিলে মোট ৯৪ টি পূজা মন্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ভাঙ্গা থানার পুলিশের উপ পরিদর্শক আব্দুল মোমিন জানান, ভাঙ্গা পৌরসভা ১৮ টি, হামিরদী ইউনিয়নে ৫ টি, ঘারুয়া ৪ টি, চুমুরদী ইউনিয়নে ৯ টি, আলগী ৩ টি, তুজারপুর ৯ টি, মানিকদহ ৪ টি, নুরুল্লাহগঞ্জ ৪ টি, নাসিরাবাদ ৫ টি, কাউলিবেড়া ৯ টি, আজিমনগর ৫ টি, চান্দরা ইউনিয়নে ১০ টি এবং কালামৃধা ইউনিয়নে ৯ টি সহ মোট ৯৪ টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উদযাপনে নিরাপত্তায় সকল প্রকার ব্যবস্থা পুলিশ প্রশাসন গ্রহন করেছে।

মো: হুমায়ুন কবির, তুহিন, (সদরপুর)ঃ সদরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সুব্রত গোলদার জানান, সেখানে ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ টি ইউনিয়নে ৪৩ টি পূজামন্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ১১ টি, আকটেরচর ইউনিয়নে ৬ টি, ভাষানচর ইউনিয়নে ৫ টি, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ৯ টি, সদরপুর ইউনিয়নে ৯ টি, ঢেউখালী ইউনিয়নে ৩ টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

মো. মুস্তাফিজুর রহমান (চরভদ্রাসন)ঃ চরভদ্রাসন থানা সূত্রে জানা যায়, সেখানে ৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে ২ টি ইউনিয়নে ১৮ টি পূজা মন্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। চরভদ্রাসন থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ আওলাদ হোসেন জানান, চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নে ৮ টি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং গাজিরটেক ইউনিয়নে ১০ টি পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন পূজামন্ডপের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য পুলিশ ও গ্রাম্য চৌকিদার ছাড়াও অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রতি মন্ডপে বাড়তি আনছার ও ভিডিপি সদস্যদের বাড়তি টহল থাকবে।

চরভদ্রাসন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রবিন্দ্র নাথ টিকাদার বলেন, মায়ের আরাধনায় নিরাপত্তার সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন প্রশাসন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বলেন, এবার করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফরিদপুর জেলা সহ দেশের সকল জেলায় দূর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হবে বলে আশা রাখছি।

ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জানান, শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনে সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রশাসন, এমনটি দাবি তার। তিনি জানান, বিগত সময়ে ন্যায় সকলের সহযোগিতা পেলে এবারের পূজাও উৎসবমূখর ও আনন্দময় হয়ে উঠবে। মায়ের আরাধনার মধ্যে দিয়ে সমগ্র স¤প্রদায় বিশ্বমানব এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মায়ের কৃপা লাভে প্রার্থনা করা হবে এমনটি জানালেন প্রায় প্রতিটি মন্দিরের পুরোহিতগণ।


প্রিন্ট