ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শামিম আহম্মেদ এই প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দুর্নীতিমুক্ত হয় বাংলাদেশ। পাসপোর্ট অফিসসহ সকল অফিস দালাল, ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত হয়। দালাল, ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর আমরা।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট করতে কোনো অতিরিক্ত টাকা লাগে না। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ফরিদপুরের পাসপোর্ট অফিসটি ইতোমধ্যে প্রচুর সুনাম অর্জন করেছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আমার অফিস চত্বরে এখন কোন দালালের আনাগোনা নেই।
তবে কেউ যদি আমাদের অফিসে আসার আগে তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে সাহায্য নেয় এবং তা স্বীকার না করে সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না। আমার অফিসের স্টাফের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ থাকলে তা প্রমাণসহ আমাকে দেখানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।
ফরিদপুরবাসীর প্রতি অনুরোধ রইলো, ফরম পূরণের কথা বলে কেউ যদি অতিরিক্ত টাকা চায়, টাকা দেবেন না। প্রয়োজনে আমাদের অফিসে এসে ফরম পূরনের সহয়তা কিংবা ওয়েবসাইটে ঢুকে ফরম পূরণ করবেন। আপনারা সচেতন হলেই দালালরা দালালি করতে পারবে না এবং আপনাদের অতিরিক্ত টাকা অপচয় হবে না।
ফরিদপুরের স্থানীয়বাসিন্দা ফাহমুদুর রহমান বলেন, ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শামিম আহম্মেদ এর সুষ্ঠু ও দক্ষ তদারকিতে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি এখন দালাল মুক্ত হয়েছে। পাসপোর্ট অফিসে নতুন পাসপোর্ট তৈরি করা, পাসপোর্টের নবায়ন, পাসপোর্ট সংশোধনে সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে হয় না আগের মতো।
অল্পদিনে ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শামিম আহম্মেদ বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।
ভাঙ্গা পৌরসভার হোগলাডাঙ্গি গ্রাম থেকে পাসপোর্ট করতে আসা রুবেল খান বলেন, ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিসে এসে দেখতে পেলাম সহকারী পরিচালক বেশ আন্তরিক। আমি সম্পুর্ণ হয়রানি মুক্ত পরিবেশে পাসপোর্ট আবেদন পত্র জমা করি। কর্মকর্তার আন্তরিক ব্যবহারে আমি মুগ্ধ। সরাসরি ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের রুমে গিয়ে আমাদের কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাসপোর্ট অফিস কার্যালয়টি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দালালদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঝে মধ্যেই পাসপোর্ট অফিসের সামনে অভিযান পরিচালনা করছেন। যার কারণে দালালরা পাসপোর্ট অফিসে এখন প্রবেশ করছেনা। দেখা যায়, সহকারী পরিচালকের কক্ষে আবেদন করতে সহজে প্রবেশ করছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাসপোর্ট করতে আসা লোকজন।
পরিচালক তাদের সমস্যার কথা আন্তরিকভাবে শুনে সমাধানের চেষ্টা করছেন।
প্রিন্ট