ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও, পিআইও ও প্রকৌশলী বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ Logo প‍্যারিসে বন্ধনের আয়োজনে পিঠা উৎসব Logo সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের মুক্তি দাবি করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা Logo গোমস্তাপুরে অবৈধ অনুপ্রবেশ দায়ে ভারতীয় নাগরিক আটক Logo সদরপুরে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু Logo কুষ্টিয়ায় মাটি কাটার অপরাধে ৪ জনের কারাদণ্ড Logo গাজনা আশাপুর আদর্শ ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ Logo মধুখালীতে সাবেক কাউন্সিলরের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি Logo বাংলা একাডেমির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ Logo কুষ্টিয়ায় ক্যান্সার নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব ও সেমিনার অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

স্কুল কমিটির সভাপতি পদে নড়াইল-১ আসনের এমপি মুক্তির অনুমোদন বাতিল!

এবার সভাপতি পদে এমপি পত্নী চন্দনা হকঃ এলাকায় উত্তেজনা

নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তিকে কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনীত করে অনুমোদনের জন্য পাঠালে তা বাতিল করে দেয় শিক্ষা বোর্ড। বিধায় পুনরায় সভাপতি নির্বাচনের
নির্দেশ দেয়ার পর এবার এমপি পত্নী মিসেস চন্দনা হককে সভাপতি নির্বাচন করতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও এমপি’র অনুসারীরা মরিয়া হয়ে ওঠেছেন।

অপরদিকে,নির্বাচিত সদস্যরাসহ (সংশ্লিষ্ট ভোটাররা) স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এলাকার সজ্জন হিসেবে পরিচিত অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ ফসিয়ার রহমানকে প্রার্থী করায় এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। শুধু তাই নয়, এমপি পত্নী মিসেস চন্দনা হককে সভাপতি হিবেবে বিজয়ী করতে মঙ্গলবার (২০সেপ্টেম্বর) চাঁচুড়ী পুরুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ
কার্যালয়ে বিকাল পাঁচটা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে এমপি মুক্তির অনুসারীদের নিয়ে বিশেষ সভা করেন।

জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট অনুষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৪ জন পুরুষ সদস্য ও একজন মহিলা সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর এমপি মুক্তিকে সভাপতি মনোনীত করে গত ২৮ আগস্ট যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে নতুন কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠায়।

কিন্তু এমপি ইতিমধ্যে এই শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন আরো দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু  প্রবিধান -২০০৯ এর ৮(৩) ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি দুইয়ের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি থাকতে পারবেন না।

এছাড়া উচ্চ আদালতের এক আদেশ বলেও এমপি মুক্তির ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার সুযোগ না থাকায় তা অনুমোদন দেয়নি শিক্ষা বোর্ড।

ফলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে প্রিজাইডিং অফিসারের সভাপতিত্বে পুনরায় এমপি মুক্তি ব্যতিত সভাপতি নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলকে অবহিত করা হয়। এ খবর জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট ভোটাররা এবং এলাকার সুধীজনেরা উপজেলার ধাড়িয়াঘাটা গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক মো.ফসিয়ার রহমান মোল্যাকে সভাপতি হিসেবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলাম ও এমপির কিছু অনুসারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলাম এমপি পত্নী মিসেস চন্দনা হককে প্রার্থী করার তোড়জোড় শুরু করেন।

বোর্ডের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার (২১ সেপ্টেমর) নতুন সভাপতি নির্বাচনের জন্য স্কুল কার্যালয়ে এক সভা ডেকেছেন শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলাম।

এদিকে, উক্ত সভায় এমপি মুক্তির প্রভাব খাটিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে এমপি পত্নীকে অবৈধভাবে সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র এবং উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি করছেন বলে আরেক সভাপতি প্রার্থী ফসিয়ার রহমান মোল্যা অভিযোগ করেছেন।

আরেক সভাপতি প্রার্থী ফসিয়ার রহমান মোল্যা বলেন,‘নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে ভোটাররা এবং এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে আমার নাম উচ্চারিত হওয়ায় শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলামসহ একটি কুচক্রীমহল আমার বিরোধীতা করছেন।

প্রকৃতপক্ষে, প্রধান শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন এই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে অনিয়ম আর দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন।

তাঁর ওইসব অপকর্মকে আড়াল করার জন্য তিনি আমাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাননা। যে কারণে প্রধান শিক্ষকসহ ওই মহলটি আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষঢ়যন্ত্র করছেন। এমনকি কয়েকদিন ধরেই প্রধান শিক্ষক ও এমপি পক্ষের লোকজন ম্যানেজিং কমিটির ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছেন এবং বিভিন্ন সভা করছেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

বিধায় সভাপতি পদের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবমুক্ত ও বিশৃঙ্খলামুক্ত করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের জেলা কার্যালয়ে সভা করার দাবি জানান তিনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি বলেন,‘সভাপতি পদে আমার সহধর্মীনির প্রার্থীতার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তবে এলাকার ভোটাররা যাকে পছন্দ মনে করবেন তাকেই সভাপতি নির্বাচিত করবেন। এখানে আমার কোন প্রভাব নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘আমাদের বিদ্যালয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি, দাতা সদস্য ও শিক্ষকদের ভোটে প্রথমে ৯ জনকে সদস্য নির্বাচন করা হয়।

নির্বাচিত সদস্যরা সভাপতি হিসেবে যাকে পছন্দ করবেন তার নাম প্রস্তাব করতে পারেন। সেখানে শুধু সদস্যরা ভোট দিতে পারেন, সেই ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। এখানে আমার কোন পছন্দ বা অপছন্দ নেই। আমার কোন প্রভাবও নেই। এছাড়া এ নিয়ে কোন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।’

এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম জানান,‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দিন (বুধবার)ওই স্কুলে সভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ভিন্ন কোন স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও, পিআইও ও প্রকৌশলী বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

error: Content is protected !!

স্কুল কমিটির সভাপতি পদে নড়াইল-১ আসনের এমপি মুক্তির অনুমোদন বাতিল!

এবার সভাপতি পদে এমপি পত্নী চন্দনা হকঃ এলাকায় উত্তেজনা

আপডেট টাইম : ০৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ :

নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তিকে কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনীত করে অনুমোদনের জন্য পাঠালে তা বাতিল করে দেয় শিক্ষা বোর্ড। বিধায় পুনরায় সভাপতি নির্বাচনের
নির্দেশ দেয়ার পর এবার এমপি পত্নী মিসেস চন্দনা হককে সভাপতি নির্বাচন করতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও এমপি’র অনুসারীরা মরিয়া হয়ে ওঠেছেন।

অপরদিকে,নির্বাচিত সদস্যরাসহ (সংশ্লিষ্ট ভোটাররা) স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এলাকার সজ্জন হিসেবে পরিচিত অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ ফসিয়ার রহমানকে প্রার্থী করায় এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। শুধু তাই নয়, এমপি পত্নী মিসেস চন্দনা হককে সভাপতি হিবেবে বিজয়ী করতে মঙ্গলবার (২০সেপ্টেম্বর) চাঁচুড়ী পুরুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ
কার্যালয়ে বিকাল পাঁচটা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে এমপি মুক্তির অনুসারীদের নিয়ে বিশেষ সভা করেন।

জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট অনুষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৪ জন পুরুষ সদস্য ও একজন মহিলা সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর এমপি মুক্তিকে সভাপতি মনোনীত করে গত ২৮ আগস্ট যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে নতুন কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠায়।

কিন্তু এমপি ইতিমধ্যে এই শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন আরো দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু  প্রবিধান -২০০৯ এর ৮(৩) ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি দুইয়ের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি থাকতে পারবেন না।

এছাড়া উচ্চ আদালতের এক আদেশ বলেও এমপি মুক্তির ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার সুযোগ না থাকায় তা অনুমোদন দেয়নি শিক্ষা বোর্ড।

ফলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে প্রিজাইডিং অফিসারের সভাপতিত্বে পুনরায় এমপি মুক্তি ব্যতিত সভাপতি নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলকে অবহিত করা হয়। এ খবর জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট ভোটাররা এবং এলাকার সুধীজনেরা উপজেলার ধাড়িয়াঘাটা গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক মো.ফসিয়ার রহমান মোল্যাকে সভাপতি হিসেবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলাম ও এমপির কিছু অনুসারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলাম এমপি পত্নী মিসেস চন্দনা হককে প্রার্থী করার তোড়জোড় শুরু করেন।

বোর্ডের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার (২১ সেপ্টেমর) নতুন সভাপতি নির্বাচনের জন্য স্কুল কার্যালয়ে এক সভা ডেকেছেন শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলাম।

এদিকে, উক্ত সভায় এমপি মুক্তির প্রভাব খাটিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে এমপি পত্নীকে অবৈধভাবে সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র এবং উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি করছেন বলে আরেক সভাপতি প্রার্থী ফসিয়ার রহমান মোল্যা অভিযোগ করেছেন।

আরেক সভাপতি প্রার্থী ফসিয়ার রহমান মোল্যা বলেন,‘নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে ভোটাররা এবং এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে আমার নাম উচ্চারিত হওয়ায় শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলামসহ একটি কুচক্রীমহল আমার বিরোধীতা করছেন।

প্রকৃতপক্ষে, প্রধান শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন এই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে অনিয়ম আর দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন।

তাঁর ওইসব অপকর্মকে আড়াল করার জন্য তিনি আমাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাননা। যে কারণে প্রধান শিক্ষকসহ ওই মহলটি আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষঢ়যন্ত্র করছেন। এমনকি কয়েকদিন ধরেই প্রধান শিক্ষক ও এমপি পক্ষের লোকজন ম্যানেজিং কমিটির ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছেন এবং বিভিন্ন সভা করছেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

বিধায় সভাপতি পদের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবমুক্ত ও বিশৃঙ্খলামুক্ত করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের জেলা কার্যালয়ে সভা করার দাবি জানান তিনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি বলেন,‘সভাপতি পদে আমার সহধর্মীনির প্রার্থীতার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তবে এলাকার ভোটাররা যাকে পছন্দ মনে করবেন তাকেই সভাপতি নির্বাচিত করবেন। এখানে আমার কোন প্রভাব নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘আমাদের বিদ্যালয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি, দাতা সদস্য ও শিক্ষকদের ভোটে প্রথমে ৯ জনকে সদস্য নির্বাচন করা হয়।

নির্বাচিত সদস্যরা সভাপতি হিসেবে যাকে পছন্দ করবেন তার নাম প্রস্তাব করতে পারেন। সেখানে শুধু সদস্যরা ভোট দিতে পারেন, সেই ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। এখানে আমার কোন পছন্দ বা অপছন্দ নেই। আমার কোন প্রভাবও নেই। এছাড়া এ নিয়ে কোন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।’

এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম জানান,‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দিন (বুধবার)ওই স্কুলে সভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ভিন্ন কোন স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।’


প্রিন্ট