সকাল হতে না হতেই খোলা বাজারে চাল কেনার জন্য ওএমএসের দোকানে ভিড় করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে দীর্ঘ হচ্ছে নারী ও পুরুষ ক্রেতাদের লাইন। দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ডিলারের বরাদ্দকৃত ২ মে.টন চাল। চাল ও আটা বিতরণ করতে হিমশিম খাচ্ছেন ডিলাররা।
পাবনার চাটমোহর পৌরসভার প্রতিটি ডিলারের দোকানেই এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে। পৌর এলাকায় ওএমএসের ৪জন ডিলার প্রতিদিন ২ মে.টন করে ৮ মে.টন চাল বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। একইসাথে আটাও বিক্রি করা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় আটার বরাদ্দ কম। প্রতি কেজি আটার দাম ১৮ টাকা। চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের রামনগর এলাকা থেকে চাল কিনতে এসেছেন রাহেলা বেগম। জানালেন দুইদিন পরপরই সে ৫ কেজি করে চাল কেনেন। তিনি জানেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই চাল বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
তাই দোয়া করলেন তার জন্য। উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড় শালিখা থেকে রতন চূর্ণকার এসেছেন চাল কিনতে। বললেন,ইউনিয়ন পর্যায়ে খোলাবাজারে চাল বিক্রি হয়না। তাই পৌরসভায় এসেছেন চার কিনতে। তবে সকালে এসে লাইনে দাড়াতে হয়। একই কথা বললেন হরিপুর ইউনিয়নের ধরইল গ্রামের আকলিমা বেগম।
চাটমোহর পুরাতন বাজারের ওএমএস ডিলার তরুন পাল জানালেন,সপ্তাহের ৫ দিন এ চাল ও আটা বিক্রি করা হয়। সকাল থেকেই শিশু ও নারী-পুরুষ চাল ও আটা কিনতে ভিড় করে। অনেক সময় ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শরিফুল ইসলাম জানালেন,গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশের মতো পাবনার চাটমোহর পৌরসভায় ৪জন ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি চাল ও ১৮ টাকা কেজি আটা বিক্রি করা হচ্ছে। টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডধারীরাও এই চাল ও আটা কিনতে পারবেন। আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি
প্রিন্ট