ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সদর বাজারের গণশৌচাগারে বাস করা শাহাদাত-নার্গিস দম্পতি বসবাসের জন্য মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘরের ব্যবস্থা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত ২৩ জানুয়ারি ‘ সহায়-সম্বলহীন দম্পতির পাবলিক টয়লেটে বাস‘ শিরোনামে কালের কণ্ঠে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
এরপর সোমবার দুপুরে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ গণশৌচাগারে বাস করা শাহাদাত-নার্গিস দম্পতির সাথে দেখা করে তাদের মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘ঘর’ দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছেন। তাছাড়া দম্পতির দেখা করে তাদের সাথে কথোপকথনের সময় ইউএনও ঝোটন চন্দ জানতে পারেন অন্যের নিকট থেকে শাহাদাতের ২০ হাজার টাকার ঋণ নেওয়া আছে। তিনি ঋণের ওই টাকাও পরিশোধের ব্যবস্থা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, আমি সম্প্রতি শাহাদাত-নার্গিস দম্পতি সম্পর্কে জেনে তাদেরকে খুঁজে ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য নির্মিতব্য আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাদের একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুরে এই প্রকল্পটি নির্মাণাধীন রয়েছে।
এ সময় শাহাদাত তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘হাসিনা অনেক বছর বাচুক, তাঁর জন্যিই ঘর পাবো। ইউএনও স্যার বসবাসের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করেছে।’
প্রসঙ্গত, শাহাদাতের পৈতৃক বাড়ি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলায় ছিলো। জন্মের সময় মাকে এবং ৬ বছর বয়সে বাবাকে হারান। পৈতৃক সম্পত্তি বলে কিছুই ছিলো না। তাই দারিদ্র্যতার কষাঘাতে এবং জীবিকার তাগিদে প্রায় দুই বছর আগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় আসেন। এরপর কাগজ কুড়িয়ে জীবন যাপন করেন। পরবর্তীতে বোয়ালমারী পৌরসভার মেয়র মোজাফফর হোসেন বাবলু মিয়া মাস্টাররোলে দৈনিক ১৬০ টাকা হাজিরায় বাজার ঝাড়ুদারের চাকরি দেন। এক পর্যায়ে ঠাঁই মেলে বোয়ালমারীর টিনপট্টিতে অবস্থিত এক গণশৌচাগারে ওই দম্পতির।
প্রিন্ট