মাগুরা সদর উপজেলার বাহারবাগ গ্রামের প্রায় ২০ বছরের গরু ব্যবসায়ী রাজিব বিশ্বাসকে নড়াইল পুলিশ আটক করলে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এলাকার গরু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির জানান, প্রায় ২০বছর ধরে গরু কেনা- বেচা করে এলাকায় তার নামে এরকম কোন খারাপ কথা শুনিনি কখনও। এক সাথে গরু ব্যবসা করি, আশে পাশের ২০ গ্রামের মানুষ তার কাছে উপকার পায়।
সিহাব ও চন্নু নামে আরো ২ গরুর ব্যাপারী জানান, টাকা দিয়ে গরু কিনে যদি চোর হতে হয় তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবে কাকে। চোর যদি চুরি করা গরু বিক্রি করতে হাটে বাজারে নিয়ে আসে বা নিজস্ব আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে নিয়ে আসে, তাহলে চোর তো তার গায়ে লেখা থাকে না বা চোরাই গরু কিনা সত্য কথা বলেও না তারা, তাহলে গরু কেনা কোন দোষের অপরাধ? তার পরেও রাজিব বাড়ির পর থেকে পরিচিত মানুষের কাছ থেকে গরু কিনেছে।
চোর হলে ঐ বাড়ির সামছু মাষ্টারের ছেলে শোয়েভ চোর হবে ? কি কারনে পুলিশ রাজিবকে আটক করলো? দেশে তো আইন বিচার নাই, যেন মগের মুল্লুক হয়েছে। যা ইচ্ছা তাই পুুলিশ করে রাজিবকে ধরে নিয়ে গেল। এদিকে রাজিব ব্যাপারী ডহরশিংড়া গ্রামের শোয়েব মোল্যার বউ লাবনীর কাছে সাংবাদিকরা এব্যাপারের জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
আরও পড়ুনঃ দেড়মাসে ৭টি পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২, আহত শতাধিক
আমাদের পুরুষ মানুষ কেউ বাড়িতে নাই লুৎফর মাতব্বর কারো কাছে কোন তথ্য দিতে নিষেধ করছেন। এজন্য আরো সন্দেহ বাড়ছে বিষয়টি নিয়ে। যাই হোক রাজিব বিশ্বাসের পিতা বাদশা বিশ্বাস সাংবাদিকদের কাছে জানান, আমার ছেলে নির্দোষ। গরু চক্রের জালে পড়ে আটক হয়েছে। তার নামে এলাকায় একটি অপরাধের কোন লেশ মাত্র নাই। তিনি প্রকৃত অপরাধীকে খুজে বের করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি এবং তার নির্দোষ ছেলেকে মুক্তি দাবী করেন।
প্রিন্ট