মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়ন জুড়ে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসীর গোপন সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ৩১ আগস্ট রাতে সাবেক চেয়ারম্যান ও নহাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী মিয়া সমর্থক নহাটা গ্রামের আতর আলী কালাই ও বর্তমান চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান তুরাপ সমর্থক ফুলবাড়ী গ্রামের ওলিয়ার রহমান দর্জি এবং চাকুলিয়া গ্রামের বাবর আলীর সাথে নহাটা বাজারের উপর কথাকাটি একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এর জের ধরে ঐ রাতেই তুরাপ সমর্থকের বেজড়া গ্রামের গোলজার ও দেলবার নামে দুই ভাইকে নহাটা বাজার থেকে ফেরার সময় নারান্দিয়ার ভেতর থেকে মারপিট করা হয়। রাতে এসকল বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় এলাকায় রাতে আর তেমন কোন বড় ধরনের সংঘর্ষ না হলেও রাত ভর উভয়পক্ষ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ১ সেপ্টেম্বর ইউনিয়নের চাকুলিয়া, বেজড়া, নারানদিয়া, পানিঘাটাসহ কয়েকটি গ্রামের দু’পক্ষের লোকজন নিজ নিজ গ্রামে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময়ে চাকুলিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কুদ্দুস( ৬০) এক নং ওর্য়াডের মেম্বার টোকোন(৪০) গোলাম নবী (৪২),পান্নু(৩৮), হারুন মুন্সি(৪৫), নারানদিয়া গ্রামের প্রবীণ রাজনীতিবিদ সলেমান শিকদার(৬৫), তরিকুল মীর (৩৮), ইউনুস (৩৫), বেজড়া গ্রামের শিমুল(৩৫), ছিয়ারণ(৬০) আকলিমা(১৯), হেলেনা(৩৫), সুমি(১৯), পানিঘাটা গ্রামের রুমান(৩০), টোকোন বিশ্বাস (৫৫) সহ অন্তত ৩০জন আহত হয়।
আহতদের মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল ইসলাম বলেন, নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
প্রিন্ট