নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সড়ক নির্মানের বিভিন্ন সমগ্রী রেখে এবং পিচ ও বিটুমিন জ্বালানোর কারনে স্কুলের পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ উঠেছে।
পিজুস এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার স্বপন দাশ সড়ক ও স্কুলের মাঠে সুড়কী, পাথরকুচি ও বালুসহ নানা উপকরণ রেখেছেন। রাস্তার ওপর এসব সামগ্রী রাখায় সড়কটিও সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে । এর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক খোকন চন্দ্র দাশ মুঠোফোনে জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে স্কুল কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া রাতে এসব নির্মাণ সামগ্রী স্কুল চত্বরে রাখা হয়েছে। বিষয়টি কালিয়ার এটিও এবং টিওকে জানানো হয়েছে। ক্লাস রুমের পিছনে পিচ ও বিটুমিন জ্বালানোর জন্য তারা চুলাও খুড়েছে। স্থানীয়রাসহ কমিটির মাধমে ইউএনও স্যারের অনুমতি ছাড়া স্কুল চত্বরে আগুন না জ্বালানোর জন্য ঠিকাদারকে অনুরোধ করেছি। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আমাদের কথায় কর্ণপাত করেননি।
উপরন্তু উক্ত ঠিকাদার ২১ আগষ্ট সকাল থেকে কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে পিচ ও বিটুমিন জ্বালানোর জন্য চুলা জ্বালিয়ে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করছেন। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করায় স্কুল ত্যাগ করেছে এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্কুল বয়কট করতে বাধ্য হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আফছার উদ্দিন জানান, স্কুল চত্বরে আগুন জ্বালালে কোমলমতি শিশুরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান মিটু বলেন, স্কুল চত্বরে আগুন জ্বালালে রাসায়নিক ধোঁয়ায় বাচ্চাদের ক্লাসে বসা দুরূহ হয়ে পড়বে। সড়ক নির্মানের বিভিন্ন ভারী যানবহন স্কুল চত্বরে আসা যাওয়া করলে যে কোন মুহুর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। ঠিকাদার স্বপন দাশ বলেন, স্কুলের সহ-সভাপতিকে বলে তিনি নির্মান সামগ্রী স্কুল চত্বরে রেখেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার দাশ এ বিষয়ে এলজিডি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, কাজ বন্ধ করার ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
প্রিন্ট