ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সংবাদ প্রকাশের পর ১২ বছর শিকলবন্দী মিলনের পাশে দাঁড়ালেন সালথার ইউএনও

বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর ১২ বছর যাবৎ শিকলবন্দী সেই মিলনের পাশে দাঁড়ালেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ তাছলিমা আক্তার ।

আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট ২০২২) বিকালে এই কর্মকর্তা গিয়ে ওঠেন মিলনের বাড়ি। মিলন কে শিকলবন্দী দেখে হতভম্ব হন তিনি। মিলনের বাবা- মাকে শিকল থেকে থেকে মুক্ত করতে বলেন ইউএনও। কিন্ত দৌড়ে পালিয়ে যাবে বা মানুষের উপর হামলা করতে পারে ভয়ে ছাড়া সম্ভব হয়নি।

এসময় ইউএনও মিলনের চিকিৎসা বাবদ আর্থিক সহায়তা করেন। এবং মানষিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে সহায়তা করবেন বলে আশসস্ত করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সালথা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি আজিজুর রহমান (আজিজ), যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক মোল্লা, সাংবাদিক বিধান মন্ডল ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আরও পড়ুনঃ ১২ বছর ধরে লোহার শিকলে বন্দী সালথা’র মিলন

ইউএনও মোছাঃ তাছলিমা আক্তার বলেন, ফেইসবুকে ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে নিউজটি দেখি। পরে সেখানে ছুটে যাই যেয়ে দেখি ছেলেটিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। বাচ্চা ছেলেটি আমি শিকল থেকে মুক্ত করতে বলেছি তার বাবা- মাকে। আমি সাময়িকভাবে কিছু আর্থিক সহায়তা করেছি। ছেলেটির বাবা- মাকে পরামর্শ দিয়েছি পাবনা হেমায়েতপুর মানষিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে চিকিৎসার সব ধরনের সহায়তার জন্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগস্টে শহীদদের স্মরণে মহম্মদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল

error: Content is protected !!

সংবাদ প্রকাশের পর ১২ বছর শিকলবন্দী মিলনের পাশে দাঁড়ালেন সালথার ইউএনও

আপডেট টাইম : ০৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর ১২ বছর যাবৎ শিকলবন্দী সেই মিলনের পাশে দাঁড়ালেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ তাছলিমা আক্তার ।

আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট ২০২২) বিকালে এই কর্মকর্তা গিয়ে ওঠেন মিলনের বাড়ি। মিলন কে শিকলবন্দী দেখে হতভম্ব হন তিনি। মিলনের বাবা- মাকে শিকল থেকে থেকে মুক্ত করতে বলেন ইউএনও। কিন্ত দৌড়ে পালিয়ে যাবে বা মানুষের উপর হামলা করতে পারে ভয়ে ছাড়া সম্ভব হয়নি।

এসময় ইউএনও মিলনের চিকিৎসা বাবদ আর্থিক সহায়তা করেন। এবং মানষিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে সহায়তা করবেন বলে আশসস্ত করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সালথা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি আজিজুর রহমান (আজিজ), যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক মোল্লা, সাংবাদিক বিধান মন্ডল ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আরও পড়ুনঃ ১২ বছর ধরে লোহার শিকলে বন্দী সালথা’র মিলন

ইউএনও মোছাঃ তাছলিমা আক্তার বলেন, ফেইসবুকে ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে নিউজটি দেখি। পরে সেখানে ছুটে যাই যেয়ে দেখি ছেলেটিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। বাচ্চা ছেলেটি আমি শিকল থেকে মুক্ত করতে বলেছি তার বাবা- মাকে। আমি সাময়িকভাবে কিছু আর্থিক সহায়তা করেছি। ছেলেটির বাবা- মাকে পরামর্শ দিয়েছি পাবনা হেমায়েতপুর মানষিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে চিকিৎসার সব ধরনের সহায়তার জন্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


প্রিন্ট