ফরিদপুরের মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ বিদেশি খেলোয়াড় চার্লস। সুযোগ পেলে তিনি এখানে বারবার আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণকারী রাফিউল স্মৃতি সংঘের পক্ষে দলে একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেওয়ায় কথা হলো চার্লস এর সাথে তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ফরিদপুরের মানুষ খুবই ভালো এবং বন্ধু সুলভ আচরণ করেন। তারা সবাইকে নিজের আপন মনে করেন মেনে নেন। তিনি কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশে আছেন।
বাংলাদেশকে ভালোবেসে ফেলেছেন। তবে ফরিদপুরের সম্ভবত এই প্রথম তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় জানান এখানকার লোকজন ভালো। কারণ তাদের মধ্যে কোন হিংসা বিদ্বেষ নেই। তাছাড়া আমি একমাত্র বিদেশি হওয়া সত্ত্বেও তারা আমাকে দারুন ভাবে গ্রহন করেছেন। আমি এজন্য কৃতজ্ঞ। চার্লস এর বাড়ি নাইজেরিয়া জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে এখন ঢাকাতে অবস্থান করছেন। এদিন তিনি খেলেছেন রাফিউল স্মৃতির পক্ষে। প্রথমার্ধে তিনি ভালো খেলতে না পারলেও দ্বিতীয়তে অনেকটা ভালো খেলে দর্শকদের মন মাতাতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি জানান এখনো ঢাকার কোন বড় ধরনের টিমে তার খেলা হয়নি সময় এবং সুযোগ পেলে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। তবে এর আগে তিনি ফরিদপুরে কোন টুর্নামেন্ট অংশ নেননি বলে জানান। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে তিনি খেলাধুলা করেছেন।
তিনি বলেন, তার মতো অনেক বিদেশী খেলোয়াড় ঢাকা লীগে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। ফরিদপুরে তারা বিভিন্ন টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণ করছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে নাইজেরিয়ার বেশ কিছু আলোচিত খেলোয়াড় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খেলার কারণে একটু গর্ব অনুভব করেন। এদের মধ্য উল্লেখযোগ্য ছিল রাফায়েল, ইদ্রিস, জুলু কামারা ,সামসি , ইভু সোলাঙ্কি, আফ্রিদি, উডু প্রমুখ।
সবকিছু মিলে খেলাটিতে তার দল হেরে গেলেও ফরিদপুরের মানুষের ব্যবহারে তিনি অত্যন্ত মুগ্ধ এবং বারবার ফরিদপুরে আসার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
পাশাপাশি এত চমৎকার একটা টুর্নামেন্ট এবং এত দর্শকের মধ্যে খেলাটাও তার কাছে অত্যন্ত আনন্দের বলে মন্তব্য করেন এই খেলোয়াড়।
প্রিন্ট