ঢাকা , শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোরে বিজ্ঞান শিক্ষার নাজুক অবস্থা Logo ৫আগস্ট গণঅভ্যুত্থান না হলে স্বাধীনভাবে কথা বলতে সভাসমাবেশ করতে পারতাম না -দুলু Logo ২৯ বছরের অবদান ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেঃ -প্রফেসর ড. সন্দীপক মল্লিক Logo খোকসায় মুক্তিযোদ্ধা দিয়ানত আলী মাস্টার ইন্তেকাল, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন Logo গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার Logo ফরিদপুরে আইডিইবির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ‌ Logo এম এ আজিজ গোল্ড কাপ ফুটবলের ‌ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo ফ্যাসিবাদের পতন হলেও দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়নি — হারুন অর রশীদ Logo বেনাপোলে বেগম খালেদা জিয়া ও রকিবুল ইসলাম বকুলের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল Logo হাতিয়ায় শহীদ রিজভীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে উদ্ধারকৃত মিনারুল হত্যার সাথে জড়িত আসামী তুফান গ্রেপ্তার।

ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগর পদ্মা নদী থেকে উদ্ধারকৃত ভাসমান মরদেহ (মিনারুল হত্যা) মামলার মূল আসামি তুফান (২০) কে শনিবার (১৩ আগষ্ট) বেলা ৩টার সময় নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তুফান ভেড়ামারা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর এলাকার আব্দুল মালিথার পূত্র।

উল্লেখ্য গত ৫ আগষ্ট সকাল ১১টার সময় ভেড়ামারা থানা পুলিশ গোলাপনগর মনি পার্কের উত্তর পাশে পদ্মা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মুখ ও পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে।

ঐদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন পাকশী লক্ষীকুন্ডা থেকে নৌ-পুলিশ। তারা লাশটি উদ্ধার করে তাদের হেফাজতেই নেয়। নিহতর ফিঙ্গার প্রিন্ট এর সাথে জাতীয় পত্র পরীক্ষা ও ম্যাচিং করে পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। অজ্ঞাত মৃত ব্যক্তিটির নাম মিনারুল ইসলাম, পিতার নাম আইয়ুব আলী, গ্রাম নীলগঞ্জ তাঁতী পাড়া উপজেলা ও জেলা যশোর।

আজ শনিবার বেলা ০৩.০০ টার সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম পুলিশ লাইনে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে উদ্ধারকৃত মিনারুল হত্যার সাথে জড়িত আসামী তুফান (২০) ।

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম আরো জানান যে, পিক আপ ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে যশোরের মিনারুল ইসলামকে কৌশলে ভেড়ামারায় এনে তার গলায় গামছা পেচিয়ে তাকে হত্যা করেছে আসামীরা। হত্যা করার পর তার লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে রেখে আসে আসামীরা। এই লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান জানান ভিকটিম মিনারুল ইসলাম (৪৩) যশোর কোতয়ালী থানা পেশায় একজন পিক আপ ভ্যান চালক। তার নিজ নামীয় পিক আপ রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো ন-১৮-১১৮৫ ।

গত ১০/০৮/২০২২ তারিখ সকাল ১১.০০ টায় আসামী মোঃ তুফান হোসেন ও সঙ্গীয় একজন আসামী ভেড়ামারা থেকে ট্রেনযোগে যশোর যায়। সেখানে পার্টস কেনার জন্য ঘোরাঘুরি করে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের পিকআপটি ভাড়া নেয় তারা। তারা বলে তাদের একটি ট্রাকের ইঞ্জিন আছে। ১০/০৮/২২ তারিখ সন্ধ্যায় ভেড়ামারা উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ১২ টার আগেই জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মওলাহাবাসপুরে পৌছায়। সেখানে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান থাকা অপর এক আসামীসহ তিনজন ভিকটিমের গলায় গামছা পেচিয়ে এবং মুখে স্কচটেপ পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

অতঃপর পিকআপটিতে ভিকটিমের লাশ নিয়ে ১১/০৮/২২ তারিখ রাত ০১ টার সময় ভেড়ামারা থানাধীন গোলাপনগরস্থ মনি পার্কের পার্শ্বে শ্মশান ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীর কিনারে পানিতে লাশ ফেলে পিকআপটি নিয়ে চলে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে এই তথ্য স্বীকার করে। ধৃত তুফানকে নৌ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পদ্মা নদীতে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

উল্লেখ্য, এমাসের ১১ তারিখ উপরোল্লিখিত স্থান থেকে এলাকাবাসীর প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ হিসেবে মিনারুলের লাশটি উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে বিজ্ঞান শিক্ষার নাজুক অবস্থা

error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে উদ্ধারকৃত মিনারুল হত্যার সাথে জড়িত আসামী তুফান গ্রেপ্তার।

আপডেট টাইম : ০৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :

ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগর পদ্মা নদী থেকে উদ্ধারকৃত ভাসমান মরদেহ (মিনারুল হত্যা) মামলার মূল আসামি তুফান (২০) কে শনিবার (১৩ আগষ্ট) বেলা ৩টার সময় নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তুফান ভেড়ামারা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর এলাকার আব্দুল মালিথার পূত্র।

উল্লেখ্য গত ৫ আগষ্ট সকাল ১১টার সময় ভেড়ামারা থানা পুলিশ গোলাপনগর মনি পার্কের উত্তর পাশে পদ্মা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মুখ ও পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে।

ঐদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন পাকশী লক্ষীকুন্ডা থেকে নৌ-পুলিশ। তারা লাশটি উদ্ধার করে তাদের হেফাজতেই নেয়। নিহতর ফিঙ্গার প্রিন্ট এর সাথে জাতীয় পত্র পরীক্ষা ও ম্যাচিং করে পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। অজ্ঞাত মৃত ব্যক্তিটির নাম মিনারুল ইসলাম, পিতার নাম আইয়ুব আলী, গ্রাম নীলগঞ্জ তাঁতী পাড়া উপজেলা ও জেলা যশোর।

আজ শনিবার বেলা ০৩.০০ টার সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম পুলিশ লাইনে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে উদ্ধারকৃত মিনারুল হত্যার সাথে জড়িত আসামী তুফান (২০) ।

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম আরো জানান যে, পিক আপ ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে যশোরের মিনারুল ইসলামকে কৌশলে ভেড়ামারায় এনে তার গলায় গামছা পেচিয়ে তাকে হত্যা করেছে আসামীরা। হত্যা করার পর তার লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে রেখে আসে আসামীরা। এই লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান জানান ভিকটিম মিনারুল ইসলাম (৪৩) যশোর কোতয়ালী থানা পেশায় একজন পিক আপ ভ্যান চালক। তার নিজ নামীয় পিক আপ রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো ন-১৮-১১৮৫ ।

গত ১০/০৮/২০২২ তারিখ সকাল ১১.০০ টায় আসামী মোঃ তুফান হোসেন ও সঙ্গীয় একজন আসামী ভেড়ামারা থেকে ট্রেনযোগে যশোর যায়। সেখানে পার্টস কেনার জন্য ঘোরাঘুরি করে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের পিকআপটি ভাড়া নেয় তারা। তারা বলে তাদের একটি ট্রাকের ইঞ্জিন আছে। ১০/০৮/২২ তারিখ সন্ধ্যায় ভেড়ামারা উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ১২ টার আগেই জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মওলাহাবাসপুরে পৌছায়। সেখানে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান থাকা অপর এক আসামীসহ তিনজন ভিকটিমের গলায় গামছা পেচিয়ে এবং মুখে স্কচটেপ পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

অতঃপর পিকআপটিতে ভিকটিমের লাশ নিয়ে ১১/০৮/২২ তারিখ রাত ০১ টার সময় ভেড়ামারা থানাধীন গোলাপনগরস্থ মনি পার্কের পার্শ্বে শ্মশান ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীর কিনারে পানিতে লাশ ফেলে পিকআপটি নিয়ে চলে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে এই তথ্য স্বীকার করে। ধৃত তুফানকে নৌ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পদ্মা নদীতে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

উল্লেখ্য, এমাসের ১১ তারিখ উপরোল্লিখিত স্থান থেকে এলাকাবাসীর প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ হিসেবে মিনারুলের লাশটি উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

 


প্রিন্ট