সম্প্রতি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নাশকতার বাবার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের রাজশাহীর ২ নং আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এ বিষয়ে রাজশাহীর আদালত বাগমারা থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
দায়েরকৃত মামলার সূত্র ধরে জানার জন্য কাকরামারী আদোশো গার্ল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম ২০শে মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় তার অফিস কক্ষে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে ডেকেছেন। সে ছাত্রীকে বিনা পয়সায় দারিদ্র্যের বিনিময়ে সেক্স করার প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে সে সেক্স করার চেষ্টা করে এবং বই, টিউশন ফি এবং মলমূত্রের জন্য ব্যয় করার প্রস্তাব দেয়। যথাসময়ে ছাত্রী নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। এক সময় মাস্টার আবার তাকে যৌনতার জন্য খুব দামী জিনিসপত্রের প্রস্তাব দেয়। অবশেষে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চুমু খেয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ হাত দিয়ে স্পর্শ করেছেন। সেখানে রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্র এখন স্কুলে যায়।
অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীর বাবাকে জানান, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে না এলে বৃত্তি ও চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণে সমস্যা হবে। দরিদ্র পিতা (কৃষক হিসাবে) তার মেয়েকে স্কুলে যেতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত, সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক আবারও যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। তখন ওই ছাত্রী অফিস কক্ষ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং তার বাবা-মাকে বিস্তারিত জানায়। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় থানায় যান। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ না করলেও পুলিশ তাকে আদালতে গিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
আরও পড়ুনঃ আলফাডাঙ্গার চিকিৎসকত্রয়ের পিতা লাল মিয়া স্যার আর নেই
এ বিষয়ে ছাত্রীর বাবা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান শিক্ষক সিন্ডিকেটের ভয়ে তিনি ও তার পরিবার। একদল দল আমাকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দিচ্ছে অন্যথায় তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তার মেয়ে স্কুলে যায় না এবং কাছে পড়াশুনা বন্ধ থাকে, তবে ফাইনাল পরীক্ষা খুব কাছে। তিনি কি করবেন কি করবেন না, কিছুই ভাবেননি “আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন”। অভিযুক্ত মাস্টার বলেন, তিনি দোষী নন। এটা আমার বিরুদ্ধে এক ধরনের অপমান।
বাগমারার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। আদালতের নির্দেশ থানায় আসেনি। কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট