ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নওগাঁর আত্রাইয়ে কুরবানীর জন্য প্রস্তুত ১০ হাজার পশু

নওগাঁর আত্রাইয়ে ১০ হাজার গবাদী পশু প্রস্তুত করেছে স্থানীয় খামারীরা। উপজেলা প্রানী সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় ৭৫০ বাণিজ্যিক খামার ও ব্যক্তিগত ভাবে এসব পশু পালন করা হয়েছে কুরবানীর জন্য। উপজেলায় কুরবানীর জন্য প্রায় ৬৫০০ পশুর চাহিদা রয়েছে। বাঁকি পশু উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। খামারীরা জানান গো-খাদ্যের মূল্য অতিরিক্ত বেশির জন্য পশুর দাম নিয়ে খামারীরা ও কৃষকরা দুঃচিন্তায় পড়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন হাটের ইজারাদার ও খামারী সূত্রে জানা গেছে এখন পর্যন্ত হাটে ক্রয় বিক্রয় ভালো জমে উঠেনি। এ অবস্থায় এবছর পশুর দাম কম পাওয়ার আসংঙ্খা বিরাজ করছে খামারীদের মাঝে। জেলা প্রণীসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে খামারীদের পশু বিক্রির জন্য বিভিন্ন এলাকায় অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন ডেইরী ফার্মের মালিকরা জানান তারা এবার কুরবানীর জন্য একেক জন খামারীর কেউ ৫টি, কেউ ৭টি, কেউবা ১০টি পশু কুরবানীর জন্য প্রস্তুত করেছে। তবে গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে তাদের এবার বড়ধরনের লোকসান গুনতে হবে বলে আসংঙ্খা করছেন।

আত্রাই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মকলেছ বলেন এ বছর বিক্রির জন্য ৫টি ষাঁড় প্রস্তুত করেছি। এখন পর্যন্ত কোন ষাড় বিক্রি হয়নি। আবার হাটেও বেচা-কেনা জমে উঠেনি, তাই খুব চিন্তায় আছি। পশুর খাদ্যের যে দাম তাতে গরুতে লাভ তেমন হবেনা।

এব্যাপারে উপজেলার ঐতিয্যবাহী আহসানগঞ্জ হাটের ইজারদার শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন গরুরহাট জমজমাট হবে। বাহিরের ব্যাপারীরাও আসবে, এবং কেনাকাটা চলবে ধীর গতিতে। করনা পরবর্তিতে মানুষের হাতে তেমন টাকা না থাকায় ধীর গতিতে পশু কেনা-বেচা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ এবার ফরিদপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বলেন ৭ হাজার খামারে ৩০ হাজার পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। এই উপজেলার চাহিদা পুরনের পর বাকী পশু জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান আত্রাই উপজেলার গো-খামারীরা পশুপালনে সচেতন।

খামারীরা পশু পালনে কোন ধরনের ক্ষতিকারক ঔষধ ব্যবহার নাকরে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করছেন। এ ব্যপারে প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে খামারীদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে এবং খামারীদের সার্বক্ষন বিভিন্ন ভাবে সুপরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ

error: Content is protected !!

নওগাঁর আত্রাইয়ে কুরবানীর জন্য প্রস্তুত ১০ হাজার পশু

আপডেট টাইম : ০৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২

নওগাঁর আত্রাইয়ে ১০ হাজার গবাদী পশু প্রস্তুত করেছে স্থানীয় খামারীরা। উপজেলা প্রানী সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় ৭৫০ বাণিজ্যিক খামার ও ব্যক্তিগত ভাবে এসব পশু পালন করা হয়েছে কুরবানীর জন্য। উপজেলায় কুরবানীর জন্য প্রায় ৬৫০০ পশুর চাহিদা রয়েছে। বাঁকি পশু উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। খামারীরা জানান গো-খাদ্যের মূল্য অতিরিক্ত বেশির জন্য পশুর দাম নিয়ে খামারীরা ও কৃষকরা দুঃচিন্তায় পড়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন হাটের ইজারাদার ও খামারী সূত্রে জানা গেছে এখন পর্যন্ত হাটে ক্রয় বিক্রয় ভালো জমে উঠেনি। এ অবস্থায় এবছর পশুর দাম কম পাওয়ার আসংঙ্খা বিরাজ করছে খামারীদের মাঝে। জেলা প্রণীসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে খামারীদের পশু বিক্রির জন্য বিভিন্ন এলাকায় অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন ডেইরী ফার্মের মালিকরা জানান তারা এবার কুরবানীর জন্য একেক জন খামারীর কেউ ৫টি, কেউ ৭টি, কেউবা ১০টি পশু কুরবানীর জন্য প্রস্তুত করেছে। তবে গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে তাদের এবার বড়ধরনের লোকসান গুনতে হবে বলে আসংঙ্খা করছেন।

আত্রাই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মকলেছ বলেন এ বছর বিক্রির জন্য ৫টি ষাঁড় প্রস্তুত করেছি। এখন পর্যন্ত কোন ষাড় বিক্রি হয়নি। আবার হাটেও বেচা-কেনা জমে উঠেনি, তাই খুব চিন্তায় আছি। পশুর খাদ্যের যে দাম তাতে গরুতে লাভ তেমন হবেনা।

এব্যাপারে উপজেলার ঐতিয্যবাহী আহসানগঞ্জ হাটের ইজারদার শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন গরুরহাট জমজমাট হবে। বাহিরের ব্যাপারীরাও আসবে, এবং কেনাকাটা চলবে ধীর গতিতে। করনা পরবর্তিতে মানুষের হাতে তেমন টাকা না থাকায় ধীর গতিতে পশু কেনা-বেচা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ এবার ফরিদপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বলেন ৭ হাজার খামারে ৩০ হাজার পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। এই উপজেলার চাহিদা পুরনের পর বাকী পশু জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান আত্রাই উপজেলার গো-খামারীরা পশুপালনে সচেতন।

খামারীরা পশু পালনে কোন ধরনের ক্ষতিকারক ঔষধ ব্যবহার নাকরে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করছেন। এ ব্যপারে প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে খামারীদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে এবং খামারীদের সার্বক্ষন বিভিন্ন ভাবে সুপরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।