এক সংরক্ষিত নারী ইউপি মেম্বারকে গণধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ফরিদপুর সদরে সংঘবদ্ধভাবে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য মিমাংসা করার পায়তারা চলছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
আজ সোমবার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠা ওই গৃহবধূর পরিবার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
গৃহবধূর পরিবারের দাবী, গত ২৯ জুন বিকালে সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষিত ওই গৃহবধূ শিবরামপুর গ্রামের এক অটোচালকের স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে ধর্ষকেরা পালিয়ে থেকে এলাকার দুইজন প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মিমাংসা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৯ জুন বিকালে ধর্ষিত ওই গৃহবধু পার্শ্ববর্তী পিঠাকুমরা বাজার থেকে ফেরার পথে তিন যুবক জোরপূর্বক রাস্তার পাশে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত ওই তিন যুবক শিবরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পরবর্তীতে ঘটনাটি তার স্বামীকে জানানোর পরে ওই গৃহবধূকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে সরেজমিনে গিয়ে ভিকটিমকে বাড়িতে পাওয়া না গেলে মুঠোফোনে তার স্বামী বিষয়টি স্বীকার করেন এবং বলেন, ঘটনার সাথে স্থানীয় কয়েকজন যুবক জড়িত বলে জানতে পেরেছি। তিনি বলেন, আমি এখন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছি, সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে মামলা করবো।
এলাকাবাসী জানায়, অভিযুক্তরা ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রয়েছে। যারা প্রত্যেকে নেশাগ্রস্থ। এদের দ্বারা আগেও একাধিক ঘটনা ঘটেছে কিন্তু তা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পার পেয়ে গেছে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটিও ধামাচাপা দেয়ার জন্য শিবরামপুর গ্রামের এক মেম্বার ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং ২/৩ লাখ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মিমাংসার পায়তারা করছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট