মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় দুষ্কৃতকারীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বালিদিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মো. ফজলু মোল্যার পুত্র বিগত ইউনিয়ন নির্বাচন করা প্রার্থী মাওলানা মাহবুবুর রহমান। গত ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সহযোগিতায় ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাংবাদিকের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৫ জুন একটি পত্রিকায় মাগুরায় পাকা ঘর দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত করা হয়।
মাওলানা মাহবুবুর রহমান জনান, আমি একটি সংস্থার মাধ্যমে চারশতাধিক পরিবারের কাছ থেকে ঘর বাবদ আবেদন নিয়ে ঐ সংস্থায় আবেদন পঠিয়েছি, যার অধিকাংশ লোকের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র কোন খরচ নেওয়া হয়নি। হাতেগোনা মুস্টিমেয় যাদের দেওয়ার সামর্থ্য আছে এমন কিছু পরিবারের কাছ থেকে খরচ বাবদ সামান্য কিছু টাকা নেওয়া হয়েছে। সেটা লক্ষ লক্ষ টাকা নয়, প্রকৃত পক্ষে আমার সুনাম, সুখ্যাতি নষ্ট করা ও জনগণের কাছ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারে নেমেছে, যেটা মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমাকে পরবর্তী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য তাদের এই অপপ্রয়াস। তাদের এই ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসবে না, সত্যের জয় চিরদিনই হয় ইনশাআল্লাহ।
সরেজমিনে রবিবার ১৯ জুন যেয়ে পত্রিকায় নাম আসা অভিযোগকারী আবেদনকারীদের সাথে কথা বলে মহবুবুর রহমানের এই কথার সত্যতা মেলে। তাদের মধ্যে একজনের নাম সালিমুল পিতা জয়নুউদ্দীন গ্রাম বালিদিয়া ইউপির মৌলি গ্রামে তিনি বলেন, সাংবাদিক ফোন দেওয়ার আগে চাঁপাতলা গ্রামের মুরাদ কাকা আমাকে বলে কত টাকা দিয়েছো ঘর বাবদ, আমি বললাম ২৫ শত টাকা, সে বলললো ২৫ শত টাকার কথা বাদ দিয়ে আমি যা বলি এখন থেকে কেউ জানতে চাইলে তুমি বলবা, ঘর বাবদ আমি ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। এই কথা বলার ঠিক পাঁচ মিনিট পর এক সাংবাদিক সালিমুলকে ফোন দেয়। সে জানতে চাইলো ঘর বাবদ আপনি কত টাকা দিয়েছেন। সালিমুল তখন মুরাদ কাকার শেখানো কথা বলে।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুর শহরে আট বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণ
সালিমুল এই প্রতিবেদকের ভিডিও ক্যামেরার রেকর্ড বক্তব্য বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে আমি মুরাদের শিখানো কথা বলা আমার বড় ভুল ও চরম অন্যায় হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিনোদপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া গ্রামের শুকুরন, ক্ষমা রাজবংশী, বালিদিয়া ইউনিয়নের চরচাপাতলা গ্রামের আব্দুর রশিদ বিশ্বাস, সুন্দরী, তাসলিমা, মৌলি গ্রামের শাহিনুর রহমান মেলিনা খাতুন, ছোট কলমধারী গ্রামের সামেলা ও শিল্পী সহ শতাধিক লোকজন বলে আমরা ঘর বাবদ আবেদন করেছি তবে কোন টাকা পয়সা দেয়নি।
প্রিন্ট