মাগুরা সদর উপজেলার সাতদোহা পাড়ার পারলা গ্রামে শশুর-শাশুড়ি কর্তৃক মেয়ে-জামাইকে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বুধবার ৮ জুন বিকাল ৫ টার সময় মাগুরা সদর সাতদোহা পাড়ার পারলা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. রকিবুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া সেজো ছেলে সৌহেব আনোয়ার শ্রেত ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামের এমকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সাজেদুর রহমান এর জৈষ্ট্য কন্যা কলেজ পড়ুয়া তাহেরা সুবহা মারিয়া মা-বাবা কৃর্তক হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কে প্রথমে তাহেরা সুবহা ব্রিফ করেন, আমার বাবা ও মা উভয়ে উপস্থিত থেকে ২০২২ সালের ২৯ মে আমার স্বামীর বাড়ি মাগুরায় উপস্থিত থেকে বিয়ে দেয়। এখন তারা পুলিশ ও আইনের ভয় দেখাচ্ছে যে স্রোত এর সাথে আমার সংসার করতে দেবে না। তিনি আরও বলেন, আমার বাবা ও মা তার কাছে থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এখন এক বুড়ো বেটার সাথে তারা আমাকে বিয়ে দেবে। কিন্তু আমি তাহেরা কখনও আমার স্বামী স্রোতকো ছেড়ে কোথাও যাবো না। আর তারা যদি বেশি জোর জবর করে তাহলে আমি নিজে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিবো।
এ ব্যাপারে তাহেরা আরও বলেন, প্রায় ৩ বছর পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে প্রথমে পরিচয় হয়, এরপর ধীরে ধীরে আমরা দুজনে প্রেমে পড়ি, আর এরপর আমরা বিয়ে করি। সংবাদ সম্মেলনে সৌহেব স্রোত তাহের বলেন, কিছু দিন পূর্বে আমার শশুর-শাওড়ি ও বাড়ির আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত থেকে আমাদের বিয়ে দেয় কিন্তু এখন তারা আমার বউকে ফিরিয়ে নিতে এবং ছেড়ে দিতে নানারকম ভয়ভীতি ও আইন প্রশাসনের ভয় দেখাচ্ছে। আমি তাহেরাকে ছাড়া একমুহূর্তে বাচতে পারবো না।
এ ব্যাপারে তাহেরার মা ও বাবা সাংবাদিকদের মুঠোফোন জানান, আমরা চাপে পড়ে এবং জীবনের নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখে, মেয়েকে ঐ ছেলের সাথে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। এখন আমরা আমার মেয়েকে ছাড়িয়ে নিয়ে পড়াশোনা করাবো। তাহেরার মা ও বাবা আরও বলেন আমরা দেশের আইনকে শ্রদ্ধা করি, আর যদি তাদের পরিবার আমার মেয়েকে সহজে ফেরত না দিলে আমরা আইনের আওতায় মামলা করে কঠিনতম শাস্তির ব্যবস্থা করবো।
প্রিন্ট