ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কিশোরী অপহরনের দায়ে নড়াইলে এক যুবকের ১৪ বছরের কারাদন্ড

কিশোরী অপহরনের দায়ে নড়াইলে মামুন শেখ (২২) নামের এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এসময় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
 বুধবার (২৫মে) বিকালে নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা ও দায়রা জজ সানা মো. মাহ্‌রুফ হোসাইন এ রায় দেন।
 দন্ডিত মামুন শেখ নড়াইল সদর থানার পেড়লি গ্রামের ফেরদৌস শেখের ছেলে।
 মামলার বিবারণে জানা যায়, সদর উপজেলার পেড়লি গ্রামের প্রদীপ গোলদারের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে ঈশিতা গোলদারকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে আসামী মামুন প্রায়ই উত্যাক্ত করতো। মামুনের পরিবারের কাছে বিচার দিয়েও কোন কাজ হয়নি।
 ঈশিতাকে তার বাবা ওই সময় কংকন বৈরাগী নামের একজনের সাথে বিয়ে দেন। কিন্তু মামুনের হাত থেকে রেহায় পাননি। উপায়ান্ত না পেয়ে ঈশিতাকে তার মামার বাড়ি সদর উপজেলার রতডাঙ্গা গ্রামে রেখে আসেন তার বাবা। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর সকাল দশটার দিকে পোশাক বানানোর কথা বলে বাইরে আসলে মামুন তাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন।
 মামলায় ঈশিতার জবানবন্দি থেকে আরো জানা যায়, ঈশিতা গোলদার নিজেকে সাবালিকা মনে করেন। নাম বদলিয়ে নিজের নাম ফারজানা আক্তার নীপা রাখেন ও ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর ইসলাম ধর্ম অনুসারে মামুনকে বিয়ে করেন।
আদালত এ মামলায় ১০জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ঈশিতা কিশোরী ও আসামী মামুন শেখ তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করেছে বলে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার (২৫ মে) বিচারক এ রায় প্রদান করেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

কিশোরী অপহরনের দায়ে নড়াইলে এক যুবকের ১৪ বছরের কারাদন্ড

আপডেট টাইম : ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ :
কিশোরী অপহরনের দায়ে নড়াইলে মামুন শেখ (২২) নামের এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এসময় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
 বুধবার (২৫মে) বিকালে নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা ও দায়রা জজ সানা মো. মাহ্‌রুফ হোসাইন এ রায় দেন।
 দন্ডিত মামুন শেখ নড়াইল সদর থানার পেড়লি গ্রামের ফেরদৌস শেখের ছেলে।
 মামলার বিবারণে জানা যায়, সদর উপজেলার পেড়লি গ্রামের প্রদীপ গোলদারের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে ঈশিতা গোলদারকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে আসামী মামুন প্রায়ই উত্যাক্ত করতো। মামুনের পরিবারের কাছে বিচার দিয়েও কোন কাজ হয়নি।
 ঈশিতাকে তার বাবা ওই সময় কংকন বৈরাগী নামের একজনের সাথে বিয়ে দেন। কিন্তু মামুনের হাত থেকে রেহায় পাননি। উপায়ান্ত না পেয়ে ঈশিতাকে তার মামার বাড়ি সদর উপজেলার রতডাঙ্গা গ্রামে রেখে আসেন তার বাবা। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর সকাল দশটার দিকে পোশাক বানানোর কথা বলে বাইরে আসলে মামুন তাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন।
 মামলায় ঈশিতার জবানবন্দি থেকে আরো জানা যায়, ঈশিতা গোলদার নিজেকে সাবালিকা মনে করেন। নাম বদলিয়ে নিজের নাম ফারজানা আক্তার নীপা রাখেন ও ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর ইসলাম ধর্ম অনুসারে মামুনকে বিয়ে করেন।
আদালত এ মামলায় ১০জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ঈশিতা কিশোরী ও আসামী মামুন শেখ তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করেছে বলে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার (২৫ মে) বিচারক এ রায় প্রদান করেন।

প্রিন্ট