নড়াইল পৌর সভার মেয়র নড়াইল পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনজুমান আরার ও পৌর পরিষদের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং আসামীদের গ্রেপ্তার না করার প্রতিবোদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার নড়াইল পৌরসভার আয়োজনে পৌরসভার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন পৌরমেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কাজী জহিরুল হক জহির, পৌর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর রেজাউল বিশ্বাস, কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইসমত আরা, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাফিজ খান মিলন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেশকাতুল ওয়ায়েজিন লিটু, পৌর যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব বিশ্বাস বিলো, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মশিয়ার বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রকিবুজ্জামান পলাশ, শাহাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।
এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, বক্তারা অবিলম্বে এ সব সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের মতদদাতাসহ তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারি, পৌর পরিষদের সদস্যসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ নড়াইলে পৌর মেয়রের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন
বক্তরা আরো বলেন, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নাম ভাঙ্গিয়ে জেলার একনেতা বিভিন্ন চাদাবাজী, দখল, হামলা করে যাচেছ, সে ধারাবাহিকতায় পৌর মেয়রের উপর হামলা ও চাদা দাবী করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে বলে সকলে আশা করেন।
মানববন্ধন শেষে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে ছাত্রলীগের নামধারী কতিপয় যুবক মেয়রের কক্ষে ঢুকে মেয়রকে গালিগালাজ অপমান ও চাদা দাবী করে। সে ঘটনায় মেয়র নড়্ইাল সদর থানায় একটি চাদাবাজী মামলা করেন। সে মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে বিকেলে নড়াইলে দুনীর্তিগ্রস্থ পৌরমেয়রকে অতিদ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়াইল পৌরসভার সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে মঙ্গলবার বিকেলে শহরের সুলতান মঞ্চচত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুরাতন বাসটার্মিনালে এসে শেষ হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন যুবলীগ নেতা এস এম ফয়সাল সাদি, শরিফুল ইসলাম বাপ্পি, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিঠুন বিশ্বাস রাজু, সন্দিপ মজুমদার, সজল আহম্মেদ শ্রাবন, সাজ্জাদ হোসেন ববি, জেলা ছাত্রলীগের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন মোল্যা প্রমূখ।
আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ!
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল শহরের পুরাতন বাসটার্মিনালে পৌরসভার অস্থায়ি কার্যালয়ে পৌরসভার ১৪২৯ সালের হাট-বাজার, টার্মিনাল ইজারা সংক্রান্ত সভা চলছিল। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ ৮/১০ জন মেয়রের কার্যালয়ে অগ্নেয়স্ত্রসহ প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় চাঁদার দাবিতে মেয়রকে হত্যাসহ পৌরসভায় প্রবেশ করতে না দেয়ার হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক পৌর পরিষদ জরুরুী সভায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
এ ঘটনায় উচ্ছাস, শাওন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ অজ্ঞাত ৮/১০কে দায়িকরে ওই রাতেই মেয়র বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শওকত কবির বলেন, এ ঘটনায় উচ্ছাস, শাওন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ অজ্ঞাত ৮/১০কে আসামী করে ওই রাতেই মেয়র বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। দ্রুতই আসামীদের আইনের আাওতায় আনা সম্ভব হবে বলেও জানান ওসি।
প্রিন্ট