ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ঝিনাইদহে শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া আইরন ফলিক এ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পর রেবা খাতুন (১২) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে সদর উপজেলার উত্তর সমশপুর গ্রামের সাগর হোসেনের মেয়ে এবং ওই স্কুলের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী।

এ ঘটনায় ফারজানা ও আসমা নামের আরো দুই শিক্ষার্থী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইউসুফ আলি জানান, ছাত্রীটি অন্যান্য দিনের মত সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্কুলে আসে। রবিবার দেশ ব্যাপী কৈশর কালীন পুষ্টি নিশিচত করতে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সরবরাহ করা আইরন ফলিক এ্যসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়।

আরও পড়ুনঃ নগরকান্দায় ইউপি চেয়ারম্যানকে দই’য়ের বাক্সে সাপ উপহার

সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হঠাৎ করে রেবা খাতুনসহ ৩ টি মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রেবাকে মৃত ঘোষণা করে। অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির বাবা সাগর হোসেন বলেন, আমার মেয়ে সকালে বাড়ি থেকে ডিম আর মিষ্টিকুমড়ার তরকারি দিয়ে ভাত খেয়ে স্কুলে গেছে। আমার মেয়ের তো রোগ নেই। কেন আমার মেয়ে মারা গেল তা তদন্ত করার দাবী করছি আমি। হাটগোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ কুমার বিশ্বাস বলেন, ৩ টা মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ১টা মেয়ে মারা গেছে।

আমরা দাবী করব এই মৃত্যুর সঠিক কারণ যেন স্বাস্থ্য বিভাগ দ্রুত বের করে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুজ্জামান বলেন, মেয়েটিকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তবে আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কোন কারন ছিল তা আরো পরীক্ষা নীরিক্ষা করা বা ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: শুভ্রা রাণী দেবনাথ বলেন, আয়রণ ট্যাবলেট থেকে মৃত্যুর কোন নজির নেই। এমনকি ঔষধ যদি মেয়াদউত্তীর্ণও হয় তবুও সব্বোর্চ পাতলা পায়খানা হতে পারে। তারপরও মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করার জন্য সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আনোয়ারুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গ^ঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ঝিনাইদহে শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া আইরন ফলিক এ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ :

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পর রেবা খাতুন (১২) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে সদর উপজেলার উত্তর সমশপুর গ্রামের সাগর হোসেনের মেয়ে এবং ওই স্কুলের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী।

এ ঘটনায় ফারজানা ও আসমা নামের আরো দুই শিক্ষার্থী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইউসুফ আলি জানান, ছাত্রীটি অন্যান্য দিনের মত সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্কুলে আসে। রবিবার দেশ ব্যাপী কৈশর কালীন পুষ্টি নিশিচত করতে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সরবরাহ করা আইরন ফলিক এ্যসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়।

আরও পড়ুনঃ নগরকান্দায় ইউপি চেয়ারম্যানকে দই’য়ের বাক্সে সাপ উপহার

সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হঠাৎ করে রেবা খাতুনসহ ৩ টি মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রেবাকে মৃত ঘোষণা করে। অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির বাবা সাগর হোসেন বলেন, আমার মেয়ে সকালে বাড়ি থেকে ডিম আর মিষ্টিকুমড়ার তরকারি দিয়ে ভাত খেয়ে স্কুলে গেছে। আমার মেয়ের তো রোগ নেই। কেন আমার মেয়ে মারা গেল তা তদন্ত করার দাবী করছি আমি। হাটগোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ কুমার বিশ্বাস বলেন, ৩ টা মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ১টা মেয়ে মারা গেছে।

আমরা দাবী করব এই মৃত্যুর সঠিক কারণ যেন স্বাস্থ্য বিভাগ দ্রুত বের করে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুজ্জামান বলেন, মেয়েটিকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তবে আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কোন কারন ছিল তা আরো পরীক্ষা নীরিক্ষা করা বা ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: শুভ্রা রাণী দেবনাথ বলেন, আয়রণ ট্যাবলেট থেকে মৃত্যুর কোন নজির নেই। এমনকি ঔষধ যদি মেয়াদউত্তীর্ণও হয় তবুও সব্বোর্চ পাতলা পায়খানা হতে পারে। তারপরও মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করার জন্য সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আনোয়ারুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গ^ঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।


প্রিন্ট