ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভেড়ামারায় নকল বিড়িসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ Logo লালপুরে স্বামীর অবৈধ প্রেমের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা Logo ভেড়ামারায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা Logo গাঁজাসহ লালপুরে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo হাতিয়ায় হজ্জযাত্রীদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী প্রশিক্ষণ Logo কাশিয়ানীতে নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার Logo মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যায্য দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা Logo মুকসুদপুরে ‘ডাকাতি’ মামলার রহস্য উদঘাটন করে সম্মাননা পেলেন ওসি তদন্ত শীতল Logo তানোরে নিখোঁজের ২০দিন পর যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার Logo ফরিদপুর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্তদের পাওনা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

-ছবিঃ প্রতীকী।

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রজনী (৪৫) কে নির্যাতনের সংবাদ পাওয়া গেছে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামী এ এসএম মাহফুজুল ইসলাম( ৫০) বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে মামলা করেছেন।

.

জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ১৬ দাগ দক্ষিণপাড়া নিবাসী আনোয়ারা খাতুন রজনী (৪৫) সঙ্গে একই গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহফিজুল মাসুম (৫০)এর সাথে প্রেম সম্পর্ক করে ২০০৩ সালে বিয়েতে আবদ্ধ হয়। তাদের সংসারের এক ছেলে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।

.

স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন রজনী বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে-অকারণে এবং যৌতুকের টাকার দাবিতে আমার স্বামী আবু সাইদ মোহাম্মদ মাহফিজুল মাসুম অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এইসব নির্যাতনের কথা প্রথমে কাউকে না বলে আমার বাবা মা কে বলি তারা আমাকে ধৈর্য ধরতে বলে এবং আমি ধৈর্য ধরে সংসার করে আসছিলাম । আমার স্বামী কোন কাজকর্ম করতো না বলে আমি মেয়ে মানুষ হয়ে বিয়ের পর থেকে হাতের শেলায়ের কাজ করি, পোড়াদহ হাট থেকে থ্রি পিস, ছিট কাপড় ক্রয় করে এনে গ্রামে ব্যবসা করি। এবং বাড়িতে ছাগল, গরু, হাস মুরগী পালন করি। এখান থেকে আস্তে আস্তে টাকা জমিয়ে ভেড়ামারা পোস্ট অফিসে ও গ্রামীণ ব্যাংকে রাখি। আমার এই টাকার সংবাদ শুনে আমার স্বামী মাসুম আমাকে বিভিন্ন ধরনের প্লোভন দেখিয়ে আমার শ্বশুরের জায়গাতে বাড়ি করার কথা বলে এবং আমি সংসারের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের চিন্তা করে আমার স্বামীর কথাই রাজি হয়ে পোস্ট অফিস ও গ্রামীণ ব্যাংক থেকে দুই কিস্তিতে ১১ লক্ষ টাকা তুলে স্বামীকে বাড়ি করতে দেয়।

.

বাড়ি করা শেষ হলে আমার উপরে আমার স্বামী মাসুমের নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমি একপর্যায়ে বাহিরচর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফজলুল হক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে আমার নির্যাতনের কথা জানাই তারা এবং তারা একদিন আমার স্বামী আবু সাইদ মোহাম্মদ মাহফিজুল কে সামনে রেখে সালিশ করে দেয়। এবং ওই সালিশের মধ্যে আমার স্বামী ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবি করে সালিশ থেকে উঠে যায়। কয়েকদিন যেতে না যেতেই ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে আমার স্বামী আমার ওপরে এবং আমার সন্তানদের উপরে দিন দিন নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়েই চলেছে।

.

আমার টাকা দিয়ে তৈরি বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাই। এত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ১/৫/২০২৫ তারিখে কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করি আমি ন্যায় বিচার চাই।

.

স্বামী মাসুম বলেন, বাড়ি করার সময় আমার স্ত্রীর কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেয়নি। টাকা নিয়েছি আমার আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ি করার জন্য আমাকে টাকা দিয়েছিলো সেই টাকা আমার স্ত্রীর কাছে রেখেছিলাম ৬ লক্ষ টাকা সেটা নিয়েছি।বিয়ের পর থেকে আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে ১৭ বছর থেকেছি কোনদিন আমি অত্যাচার করি নাই। বরং আমার স্ত্রী আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে তার আচার-আচরণের জন্য আমি শশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে ৩ মাস মেসে ছিলাম। তার পরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে এসে বাসা ভাড়া করে সংসার করতে শুরু করি। বাসাতে এসে আমার স্ত্রী রজনী আমার সাথে চরম খারাপ ব্যবহার শুরু করে। আমি আমার স্ত্রী সন্তানের সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করি নাই তাদের কোন অত্যাচার করি নাই। আমার নামে আমার স্ত্রী রজনী যেসব অভিযোগ দিয়েছে সব মিথ্যা। আমি আপনাদের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচার চাই।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ভেড়ামারায় নকল বিড়িসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ

error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আপডেট টাইম : ৪ ঘন্টা আগে
ইসমাইল হােসেন বাবু, সিনিয়র ষ্টাফ রিপাের্টার :

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রজনী (৪৫) কে নির্যাতনের সংবাদ পাওয়া গেছে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামী এ এসএম মাহফুজুল ইসলাম( ৫০) বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে মামলা করেছেন।

.

জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ১৬ দাগ দক্ষিণপাড়া নিবাসী আনোয়ারা খাতুন রজনী (৪৫) সঙ্গে একই গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহফিজুল মাসুম (৫০)এর সাথে প্রেম সম্পর্ক করে ২০০৩ সালে বিয়েতে আবদ্ধ হয়। তাদের সংসারের এক ছেলে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।

.

স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন রজনী বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে-অকারণে এবং যৌতুকের টাকার দাবিতে আমার স্বামী আবু সাইদ মোহাম্মদ মাহফিজুল মাসুম অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এইসব নির্যাতনের কথা প্রথমে কাউকে না বলে আমার বাবা মা কে বলি তারা আমাকে ধৈর্য ধরতে বলে এবং আমি ধৈর্য ধরে সংসার করে আসছিলাম । আমার স্বামী কোন কাজকর্ম করতো না বলে আমি মেয়ে মানুষ হয়ে বিয়ের পর থেকে হাতের শেলায়ের কাজ করি, পোড়াদহ হাট থেকে থ্রি পিস, ছিট কাপড় ক্রয় করে এনে গ্রামে ব্যবসা করি। এবং বাড়িতে ছাগল, গরু, হাস মুরগী পালন করি। এখান থেকে আস্তে আস্তে টাকা জমিয়ে ভেড়ামারা পোস্ট অফিসে ও গ্রামীণ ব্যাংকে রাখি। আমার এই টাকার সংবাদ শুনে আমার স্বামী মাসুম আমাকে বিভিন্ন ধরনের প্লোভন দেখিয়ে আমার শ্বশুরের জায়গাতে বাড়ি করার কথা বলে এবং আমি সংসারের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের চিন্তা করে আমার স্বামীর কথাই রাজি হয়ে পোস্ট অফিস ও গ্রামীণ ব্যাংক থেকে দুই কিস্তিতে ১১ লক্ষ টাকা তুলে স্বামীকে বাড়ি করতে দেয়।

.

বাড়ি করা শেষ হলে আমার উপরে আমার স্বামী মাসুমের নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমি একপর্যায়ে বাহিরচর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফজলুল হক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে আমার নির্যাতনের কথা জানাই তারা এবং তারা একদিন আমার স্বামী আবু সাইদ মোহাম্মদ মাহফিজুল কে সামনে রেখে সালিশ করে দেয়। এবং ওই সালিশের মধ্যে আমার স্বামী ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবি করে সালিশ থেকে উঠে যায়। কয়েকদিন যেতে না যেতেই ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে আমার স্বামী আমার ওপরে এবং আমার সন্তানদের উপরে দিন দিন নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়েই চলেছে।

.

আমার টাকা দিয়ে তৈরি বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাই। এত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ১/৫/২০২৫ তারিখে কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করি আমি ন্যায় বিচার চাই।

.

স্বামী মাসুম বলেন, বাড়ি করার সময় আমার স্ত্রীর কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেয়নি। টাকা নিয়েছি আমার আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ি করার জন্য আমাকে টাকা দিয়েছিলো সেই টাকা আমার স্ত্রীর কাছে রেখেছিলাম ৬ লক্ষ টাকা সেটা নিয়েছি।বিয়ের পর থেকে আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে ১৭ বছর থেকেছি কোনদিন আমি অত্যাচার করি নাই। বরং আমার স্ত্রী আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে তার আচার-আচরণের জন্য আমি শশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে ৩ মাস মেসে ছিলাম। তার পরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে এসে বাসা ভাড়া করে সংসার করতে শুরু করি। বাসাতে এসে আমার স্ত্রী রজনী আমার সাথে চরম খারাপ ব্যবহার শুরু করে। আমি আমার স্ত্রী সন্তানের সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করি নাই তাদের কোন অত্যাচার করি নাই। আমার নামে আমার স্ত্রী রজনী যেসব অভিযোগ দিয়েছে সব মিথ্যা। আমি আপনাদের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচার চাই।


প্রিন্ট