ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান আগামী ২৭ ও ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ ক্রীড়ানুষ্ঠান বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির একক সিদ্ধান্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে পরিচালনা পর্ষদের একাধিক সদস্য, অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাবের জন্য দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজে পাঠদান বন্ধ ছিল। বিদ্যালয়ে পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বারো দিন পর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। অপরদিকে বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের নব নির্বাচিত সভাপতি কামরুল হাসান তার একক সিদ্ধান্তে ক্রীড়ানুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে অনুষ্ঠানের চিঠিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে নাম আছে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়ার। কিন্তু তিনি দাওয়াত গ্রহণ করেননি বলে জানা গেছে। এছাড়া পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় সভাপতি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলামের বেতন মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি করেছেন বলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক প্রতিনিধি মো. ওসমান শেখ বলেন, বিদ্যালয়ের ক্রীড়ানুষ্ঠান বর্জন করেছি। সভাপতি একক সিদ্ধান্তে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন।
এ ব্যাপারে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের অভিভাবক মুরশিদ আহমেদ বলেন, বিদ্যালয় খোলার দুই সপ্তাহের মধ্যে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় শ্রেণি কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে। বিদ্যালয় খুলেই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা উচিত হয়নি।
অভিযোগের ব্যাপারে বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামরুল হাসান বলেন, একক সিদ্ধান্তে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি-এ অভিযোগ মিথ্যা। পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক এতদিন বেতন বৈষম্যের শিকার ছিলেন। তাই তার স্কুল প্রদত্ত বেতন নিয়ম মোতাবেকই বৃদ্ধি করা হবে। এখন পর্যন্ত টাকার পরিমান নির্ধারণ করা হয়নি। বিশেষ অতিথি দাওয়াত গ্রহণ না করার পরেও তার নাম চিঠিতে উল্লেখ করা সঠিক হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এই অঞ্চলের অভিভাবক। আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি। আর সভাপতি হিসেবে তাকে অতিথি করা আমার দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে।
প্রিন্ট