ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন করে এক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সোমবার বিকেলে উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় দলীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ওই বিদ্রোহী প্রার্থী।
জানা যায়, উপজেলার ময়না ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পান জেলা মৎস্যজীবীলীগের সদস্য পলাশ বিশ্বাস।
মনোনয়ন বঞ্চিত উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির মো. সেলিম, উপজেলা আ’লীগের সদস্য কামরুজ্জামান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য মো. সাইফুজ্জামান জিন্নাহ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নাসির মো. সেলিম বাদে বাকি দুই বিদ্রোহী এর আগেই আ’লীগের প্রার্থীকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনী এলাকায় ময়না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির মো. সেলিম নিজের অবস্থান এবার নাজুক বুঝতে পেরে অবশেষে তিনিও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।
নির্বাচনে নিজের ভরাডুবি এড়াতে এবং দলীয় পদ টিকিয়ে রাখতে নির্বাচন থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী নাসির মো. সেলিম সরে দাঁড়ালেন বলে অনেকের অভিমত। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে নাসির মো. সেলিম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং আ’লীগের মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, ওই ইউনিয়নের আ’লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী পলাশ বিশ্বাস, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সিদ্দিকী, পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মান্নান মোল্যা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে আ’লীগের পদে থেকে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির মো. সেলিমকে ১ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। কিন্তু প্রত্যাহার না করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতিক্রমে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির মো. সেলিমের বিরুদ্ধে ১০ ডিসেম্বর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রিন্ট