অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়ায় অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালতে ৭টি ভাটার মালিককে সাড়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন।
এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আতাউর রহমান, সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মণ, র্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্ত ইটভাটাগুলো হলো— কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মেসার্স সাগর ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা; মেসার্স সৈনিক ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা; মেসার্স একেবি ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা; মেসার্স এসআরবি ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা; হাঁসদিয়া এলাকার মেসার্স জেএন ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা; নন্দলালপুর ইউনিয়নের চরএলঙ্গী এলাকার মেসার্স এসআরবি-১ ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা এবং যদুবয়রা প্রফেসরস ব্রিকসকে (পিবিজে) ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইসঙ্গে ৬টি ইটভাটা স্কেভেটর দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতাউর রহমান বলেন, ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ (সংশোধনী ২০১৮) অনুযায়ী ৭ ভাটা মালিককে সাড়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। এ সময় টিনের চিমনি, ভাটার কিছু অংশ ও প্রায় ৬০ হাজার ইট ধ্বংস করা হয়। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রিন্ট