ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহীর মোহনপুর বিএনপি’র সম্মেলন সভাপতি মুন, সম্পাদক মাহাবুর Logo বিভাগের দাবিতে উত্তাল নোয়াখালী Logo তানোরে নীতিমালা লঙ্ঘন করে গভীর নলকুপ অপারেটরের আবেদন Logo মাধবদীতে হুমায়ুন কবির নামে এক জনকে গুলি করে হত্যা Logo প্রত্যেকটা বাড়িতে গিয়ে তারেক জিয়ার ৩১ দফার দাওয়াত পৌছে দিতে হবে Logo মাত্র একটি কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ দিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন হেলাল হাফিজ Logo পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo কালুখালী কলেজ প্রভাষক রাজ্জাকের জানাজা সম্পন্ন Logo খোকসায় প্রগতি সংঘের উদ্যোগে দরিদ্র তাঁতিদের মাঝে বিনামূল্যে তাঁত শিল্প উপকরন বিতরণ Logo মালাই চা বিক্রি করে শামীম সাবলম্বী
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

একজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পুরো গ্রামের মানুষ

একজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পুরো গ্রামের মানুষ চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:৪৬ https://www.ajkerpatrika.com/96194 রাতের আঁধারে জমির ধান কেটে নেওয়ার পর আমগাছের ডাল কেটে ফেলে জামাল শাহ রাতের আঁধারে জমির ধান কেটে নেওয়ার পর আমগাছের ডাল কেটে ফেলে জামাল শাহ।

কখনো গাছের ডাল কেটে সাবাড় করছেন, কখনো জমির ফসল কেটে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন, আবার কখনো অন্যের জমি নিজের দাবি করে চাষ দিচ্ছেন। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতেও সাহস করছেন না। তাঁর অত্যাচারে পুরো গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ।

৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম জামাল শাহ। তিনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মৃত রমজান শাহের ছেলে। উপায় না পেয়ে অবশেষে গতকাল শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।

ভুক্তভোগীদের একজন প্রসেন চন্দ্র। তিনি বলেন, `জামালের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। মাঠের ফসল পরিপক্ব হলেই সে কেটে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। গরু-ছাগল দিয়ে ফসল খাওয়ায়। পুকুরের মাছ ধরে নেয়। গত বুধবার সে আমার ৩০ শতাংশ জমির আমগাছের ডাল কেটে ক্ষতি করেছে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে ট্রাক্টর দিয়ে আমার ভাইয়ের জমি চাষ দিয়েছে। এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’

আরেক ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম বলেন, `অনেক কষ্ট করে জমিতে আমন ধান করেছিলাম। কিন্তু ধান ঘরে তুলতে পারিনি। ধান পরিপক্ব হতেই জামাল রাতের আঁধারে সব ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে গেছে। গ্রামবাসী মিলে মাঠে পাহারাদার রেখেও ধান কাটা আটকাতে পারিনি।’

উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাহুল ক্রান্তি ঘোষ বলেন, `আমার নিজের পরিবারসহ আশপাশের সব পরিবার এই জামাল শাহের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। মাঠের ফসল, পুকুরের মাছ কিছুই কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারছেন না। সে নিজের দাবি করে ক্ষতি সাধন করছে। নিষেধ করলে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এমন অবস্থায় আমরা ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান বাদশা বলেন, `জামাল শাহের অত্যাচারে এলাকাবাসী সবাই অতিষ্ঠ। সে ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় থাকা জমিও নিজের দাবি করে চাষ দিয়েছে। কয়েক বছর আগে তার এসব কর্মকাণ্ডের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাও দেওয়া হয়েছিল। ইদানীং সে আবারও অত্যাচার শুরু করেছে। ইউনিয়ন পরিষদে বিচার করেও সুরাহা হয়নি। যেকোনো সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে পারে। এ জন্য এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’

জানতে চাইলে জামাল শাহ নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, `আমি ভালো থাকি, সেটা তাঁরা চান না। মাঠের অধিকাংশ জমি আমার বাপ-দাদার ছিল। বাপ-দাদাকে ঠকিয়ে সব জমি তাঁরা নিজের নামে লিখে নিয়েছেন। এ জন্য আমি নিজের মনে করেই জমি চাষ দিয়েছি, নিজের জমির ফসল কেটেছি।’

এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর মোহনপুর বিএনপি’র সম্মেলন সভাপতি মুন, সম্পাদক মাহাবুর

error: Content is protected !!

একজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পুরো গ্রামের মানুষ

আপডেট টাইম : ১২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১
মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ :

কখনো গাছের ডাল কেটে সাবাড় করছেন, কখনো জমির ফসল কেটে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন, আবার কখনো অন্যের জমি নিজের দাবি করে চাষ দিচ্ছেন। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতেও সাহস করছেন না। তাঁর অত্যাচারে পুরো গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ।

৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম জামাল শাহ। তিনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মৃত রমজান শাহের ছেলে। উপায় না পেয়ে অবশেষে গতকাল শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।

ভুক্তভোগীদের একজন প্রসেন চন্দ্র। তিনি বলেন, `জামালের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। মাঠের ফসল পরিপক্ব হলেই সে কেটে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। গরু-ছাগল দিয়ে ফসল খাওয়ায়। পুকুরের মাছ ধরে নেয়। গত বুধবার সে আমার ৩০ শতাংশ জমির আমগাছের ডাল কেটে ক্ষতি করেছে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে ট্রাক্টর দিয়ে আমার ভাইয়ের জমি চাষ দিয়েছে। এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’

আরেক ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম বলেন, `অনেক কষ্ট করে জমিতে আমন ধান করেছিলাম। কিন্তু ধান ঘরে তুলতে পারিনি। ধান পরিপক্ব হতেই জামাল রাতের আঁধারে সব ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে গেছে। গ্রামবাসী মিলে মাঠে পাহারাদার রেখেও ধান কাটা আটকাতে পারিনি।’

উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাহুল ক্রান্তি ঘোষ বলেন, `আমার নিজের পরিবারসহ আশপাশের সব পরিবার এই জামাল শাহের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। মাঠের ফসল, পুকুরের মাছ কিছুই কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারছেন না। সে নিজের দাবি করে ক্ষতি সাধন করছে। নিষেধ করলে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এমন অবস্থায় আমরা ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান বাদশা বলেন, `জামাল শাহের অত্যাচারে এলাকাবাসী সবাই অতিষ্ঠ। সে ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় থাকা জমিও নিজের দাবি করে চাষ দিয়েছে। কয়েক বছর আগে তার এসব কর্মকাণ্ডের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাও দেওয়া হয়েছিল। ইদানীং সে আবারও অত্যাচার শুরু করেছে। ইউনিয়ন পরিষদে বিচার করেও সুরাহা হয়নি। যেকোনো সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে পারে। এ জন্য এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’

জানতে চাইলে জামাল শাহ নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, `আমি ভালো থাকি, সেটা তাঁরা চান না। মাঠের অধিকাংশ জমি আমার বাপ-দাদার ছিল। বাপ-দাদাকে ঠকিয়ে সব জমি তাঁরা নিজের নামে লিখে নিয়েছেন। এ জন্য আমি নিজের মনে করেই জমি চাষ দিয়েছি, নিজের জমির ফসল কেটেছি।’

এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট