মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চালু হওয়া ‘কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্ট’র কার্যক্রম সাবলীলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য সরকারি সেবাসমূহ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা নিশ্চিত করার জন্য এই কার্যক্রম চালু হয়।
শনিবার ২৭ নভেম্বর সকাল ১০ টায় মাগুরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা ই-সেবা কেন্দ্রে ডিজিটাল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট, কম্প্লাইন্ট ম্যানেজমেন্ট এন্ড কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্টের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। একই সাথে বঙ্গবন্ধু গ্যালারি ও লাইব্রেরী উদ্বোধন হয়েছে। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন এনডিসি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোঃ আফাজউদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ কামরুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহাম্মদ ইয়াসিন কবির, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার লিউজা-উল- জান্নাহ, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ রেজাউল করিম সহ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগন উপস্থিত ছিলেন।
উদ্যোক্তারা জানান, সেবা গ্রহণের জন্য আগত সকল নাগরিক কিয়স্ক মেশিনে তাদের মোবাইল নম্বর ইনপুট দেওয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সেবা তালিকা থেকে যে কোনো সেবা নির্বাচন করে একটি নির্দিষ্ট অটোমেটেড টোকেন সিরিয়াল গ্রহণ করে কিউ প্রো সফটওয়্যারের মাধ্যমে এখান থেকে দ্রুত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। সেবা প্রত্যাশীরা এই ‘কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্ট’ থেকে রেকর্ড রুম সংক্রান্ত পর্চা, দাগসূচি, মৌজা ম্যাপ, ইনফরমেশন স্লিপ, বিবিধ মামলার নকল ও অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন এবং সাথে সাথেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে কাগজ প্রাপ্তির তারিখ। এছাড়া ঘরে বসেও ডাকের মাধ্যমে কাগজ পত্র পেতে পারেন সেবা প্রত্যাশীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা শিমুল বিশ্বাস বলেন, “আগে তো টাকা পয়সা দিয়া, দালাল ধইরা কাগজ পত্র উঠাইতে ঘোরতে হইতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের জন্য এতো সুন্দর ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”
মাগুরা জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম জানান, সাধারণত কর্পোরেট অফিস, বড় বড় বিমান বন্দর, বিদেশী এ্যাম্বাসী এসব জায়গাগুলোতে এমন সার্ভিস দেওয়া হয়। মাগুরায় আমরাই প্রথম সরকারি সেবাকে সাধারণ মানুষের কাছে আরামদায়ক ও সুবিধাজনকভাবে পৌছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্টের মাধ্যমে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে এবং ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজে অল্প সময়ের মধ্যেই জমির পর্চা তোলা সহ অন্যান্য সেবা নিতে পারবে।
প্রিন্ট