মাগুরা সদর উপজেলায় একাধিক বিয়ের নামে পাত্রী সাঁজানো ও প্রেমের ফাঁদে ফেলা সেই লাবন্যের বিরুদ্ধে মাগুরা বিজ্ঞ সদর আমলি আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী নজরুল ইসলাম জানান, আসামী লাবন্য খাতুন ও তার মা মমতাজ বেগম অত্যান্ত সুচতুর মহিলা, পরস্পর লোভী ও ভয়ানক শ্রেনীর লোক।তারা প্রতারনার মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা তাদের পেশায় পরিণিত হয়েছে।
এই প্রতারণার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মাগুরা কোর্টে মামলা হয়েছে যার মামলা নং সি আর ১৫১/২১। তিনি আরো জানান, ইতিপূর্বে মাগুরা সদরের রায়গ্রাম মন্ডলপাড়ার সহজ সরল যুবক জুয়েল, নীজনান্দুয়ালী গ্রামের মামুন, আবালপুর গ্রামের ডেবিডের সাথে বিয়ের প্রতারনা করেছেন। এ ছাড়াও নাম না জানা অনেক যুবকদের কাছে থেকে বিয়ের কৌশলে সর্বশান্ত করেছে।
মাাগুরা, ফরিদপুর, নড়াইল ও যশোরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে সহজ সরল যুবকদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ের কথা বলে মোটা অংকের টাকা আদায় করাসহ নানা ধরনের হয়রানী করা তাদের পেশা ভিত্তিক কাজ। একারনে মা-মেয়ে নীজ গ্রাম নীজনান্দুয়ালী থেকে স্থানীয় মাতব্বররা তাদের গ্রাম থেকে বিতাড়িত করেছেন। তারা বর্তমানে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড দেড়ুয়া গ্রামে এসে বসবাস শুরু করে।
এর পর বিভিন্ন অবৈধ কাজের সাথে জড়িত হওয়ায় ঐ গ্রামে শালিস দরবারে দেড়ুয়া গ্রামবাসী অতিষ্ট। এবিষয়ে ঐ গ্রামের মাতব্বর রবিউল জানান, আসলে লাবন্য ও তার মা অসামাজিক লোক গ্রামে তাদের সাথে কারো সম্পর্ক নাই এক ঘরে স্বভাবস্বভাবের লোক। তাদের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করা আছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ইকবাল মাহমুদ জানান, মামলাটি তদন্ত করার ভার আমার কাছে এসেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রমান পাওয়া গেলে আইনের কাছে তাদের বিচার হবে।
প্রিন্ট