গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পারিবারিক মামলার সৌদি প্রবাসির স্ত্রীর সঙ্গে গোয়ালঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তোফাজ্জল হোসেনকে সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, এএসআই তোফাজ্জল হোসেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত। কিছুদিন আগে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর ছড়ারকুঠি গ্রামের সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী’র সাথে স্বামীর জমিজমা নিয়ে ভাসুরের বিরোধ দেখা দেয়। পরে ওই নারী বাদী হয়ে থানায় ভাসুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তভার পড়ে এএসআই তোফাজ্জল হোসেনের উপর। পরে তদন্তে গিয়ে ওই নারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেন এএসআই তোফাজ্জল হোসেন। তিনি মামলার অযুহাতে ওই নারীর সাথে প্রায়ই রাতে দেখা করতে আসেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তোফাজ্জল হোসেন ছড়ারকুঠি গ্রামের ওই সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে আসেন এবং আপত্তিকর অবস্থায় ওই নারীর সঙ্গে তাকে গোয়ালঘরে দেখে ফেলেন প্রতিবেশীরা। এ ঘটনা জানাজানি হলে শত শত উত্তেজিত জনতা তোফাজ্জলসহ প্রবাসির স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে বাড়ির উঠানের আমগাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
সুন্দরগঞ্জ থানা ও কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। তারা বাঁশি বাজিয়ে জনগণকে ছত্রভঙ্গ করে। ওই প্রবাসির বাড়ি থেকে টিনের বেড়া ভেঙ্গে তাড়াহুড়া করে বের হতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তোফাজ্জল হোসেনকে উদ্ধার রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা সুন্দরগঞ্জ থানায় নিয়ে যান। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হবে এমন আশংকা থেকে প্রবাসির স্ত্রীকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ তাকে থানায় যেতে দেয়নি। প্রবাসির স্ত্রী তার বাড়িতে আছেন। তবে প্রবাসির স্ত্রী ওই নারীর দাবি, তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে তার কোনো সখ্য বা প্রেমঘটিত কোনো বিষয় নেই। পূর্ব পরিচিতির কারণে রাতে তাকে বাসায় দাওয়াত করেছিলেন তিনি।
প্রিন্ট