ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও আলোচনা সভা Logo ফরিদপুরে দুইদিন ব্যাপী রিপোর্ট রাইটিং প্রশিক্ষনের উদ্বোধন Logo পাংশা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ Logo রাজাপুরে ৫৩ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা, অজ্ঞাত ১৫০ Logo ঠাকুরগাঁওয়ে তিন নারী ও এক পুরুষকে আটক Logo ফরিদপুরে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo পটিয়ায় গরু চুরি বৃদ্ধিতে আতঙ্ক, টহল পুলিশের কার্যক্রম জোরদারের দাবি Logo দৌলতপুরে চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে মাছ ব্যবসায়ী নিহত Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সহকর্মীকে ‘ধর্ষণ’, এসপি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আদালতের

পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে তারই সহকর্মী এক নারী পুলিশ পরিদর্শকের করা ধর্ষণ মামলাটি উত্তরা পূর্ব থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার এ আদেশ দেন।

এর আগে একই ট্রাইব্যুনালে পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারী পুলিশ। সেসময় বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার তার জবানবন্দি শুনে আদেশের জন্য সময় নেন।

নারী পুলিশ কর্মীর অভিযোগ, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে থাকাকালীন ২০১৯ সালে সুদানের দারফুরে এবং পরে দেশে ফেরার পর ঢাকার উত্তরার একটি হোটেলে তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার মো. জাফর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত পরে আদেশ দেবেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আফরোজা ফারহানা অরেঞ্জ জানান, অভিযোগকারী নারী পুলিশ কর্মকর্তা বর্তমানে পরিদর্শক পদে আছেন। আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন এখন বাগেরহাটে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত।

নারী কর্মকর্তা মামলার আবেদনে লিখেছেন, ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানের দারফুরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যান পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন। তার আগে থেকেই তিনি (নারী পুলিশ) ওই মিশনে ছিলেন। যেহেতু মিশনের বিভিন্ন বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছিল, সেজন্য মোক্তার হোসেন নানা ধরনের সাহায্য নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং এক পর্যায়ে বিভিন্ন অজুহাতে তার বাসায় যাতায়াত শুরু করেন।

আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে তার বাসায় তাকে ‘ধর্ষণ’ করেন তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন। সেই ঘটনার একটি বিবরণও মামলার আবেদনে তুলে ধরেছেন তিনি।

মামলার আবেদনে তিনি বলেছেন, ওই ঘটনা যেন কাউকে না জানানো হয় এজন্য ওই একইদিন ‘হুমকি দিয়ে’ চলে যান মোক্তার হোসেন। পরে ২২ ডিসেম্বর আবারও মোক্তার হোসেন ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় আসেন। এরপর প্রথমে ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চান এবং তারপরই আবারও ‘ধর্ষণ’ করেন।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই নারীকে ‘মুখে মুখে কলেমা পড়ে বিয়ের আশ্বাস’ দিয়ে আসছিলেন মোক্তার। পরে ছুটিতে দেশে ফিরে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘বিয়ের  আশ্বাস দিয়ে’ ঢাকার উত্তরার একটি হোটেলে নিয়ে তাকে আবারও ‘ধর্ষণ’ করেন। পরে ওই বছরের ২৬ থেকে ৩০ জুন সুদানের খার্তুমের একটি হোটেলে এবং ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর ঢাকার উত্তরার হোটেলে ফের তাকে ‘ধর্ষণ’ করা হয়।

তিনি আবেদনে লিখেছেন, দেশে ফেরার পর তিনি বিয়ে নিবন্ধনের কথা বললে আসামি সেটি এড়িয়ে যেতে থাকেন। সবশেষ ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল ওই নারী রাজারবাগে আসামির বাসায় উপস্থিত হয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি ও কাবিননামা সম্পন্ন করতে বললে আসামি তাতে অসম্মতি জানান।

এসময় আসামির বাসায় তার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে সেদিন ওই নারী পুলিশকে ‘মারধর করেন’ বলেও আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।
করোনাকালীন সময়ে আদালত বন্ধ থাকায় তার মামলা দায়ের করতে দেরি হয় বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও আলোচনা সভা

error: Content is protected !!

সহকর্মীকে ‘ধর্ষণ’, এসপি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আদালতের

আপডেট টাইম : ০৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১
সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক রিপোর্টঃ :

পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে তারই সহকর্মী এক নারী পুলিশ পরিদর্শকের করা ধর্ষণ মামলাটি উত্তরা পূর্ব থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার এ আদেশ দেন।

এর আগে একই ট্রাইব্যুনালে পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারী পুলিশ। সেসময় বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার তার জবানবন্দি শুনে আদেশের জন্য সময় নেন।

নারী পুলিশ কর্মীর অভিযোগ, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে থাকাকালীন ২০১৯ সালে সুদানের দারফুরে এবং পরে দেশে ফেরার পর ঢাকার উত্তরার একটি হোটেলে তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার মো. জাফর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত পরে আদেশ দেবেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আফরোজা ফারহানা অরেঞ্জ জানান, অভিযোগকারী নারী পুলিশ কর্মকর্তা বর্তমানে পরিদর্শক পদে আছেন। আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন এখন বাগেরহাটে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত।

নারী কর্মকর্তা মামলার আবেদনে লিখেছেন, ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানের দারফুরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যান পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন। তার আগে থেকেই তিনি (নারী পুলিশ) ওই মিশনে ছিলেন। যেহেতু মিশনের বিভিন্ন বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছিল, সেজন্য মোক্তার হোসেন নানা ধরনের সাহায্য নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং এক পর্যায়ে বিভিন্ন অজুহাতে তার বাসায় যাতায়াত শুরু করেন।

আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে তার বাসায় তাকে ‘ধর্ষণ’ করেন তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন। সেই ঘটনার একটি বিবরণও মামলার আবেদনে তুলে ধরেছেন তিনি।

মামলার আবেদনে তিনি বলেছেন, ওই ঘটনা যেন কাউকে না জানানো হয় এজন্য ওই একইদিন ‘হুমকি দিয়ে’ চলে যান মোক্তার হোসেন। পরে ২২ ডিসেম্বর আবারও মোক্তার হোসেন ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় আসেন। এরপর প্রথমে ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চান এবং তারপরই আবারও ‘ধর্ষণ’ করেন।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই নারীকে ‘মুখে মুখে কলেমা পড়ে বিয়ের আশ্বাস’ দিয়ে আসছিলেন মোক্তার। পরে ছুটিতে দেশে ফিরে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘বিয়ের  আশ্বাস দিয়ে’ ঢাকার উত্তরার একটি হোটেলে নিয়ে তাকে আবারও ‘ধর্ষণ’ করেন। পরে ওই বছরের ২৬ থেকে ৩০ জুন সুদানের খার্তুমের একটি হোটেলে এবং ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর ঢাকার উত্তরার হোটেলে ফের তাকে ‘ধর্ষণ’ করা হয়।

তিনি আবেদনে লিখেছেন, দেশে ফেরার পর তিনি বিয়ে নিবন্ধনের কথা বললে আসামি সেটি এড়িয়ে যেতে থাকেন। সবশেষ ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল ওই নারী রাজারবাগে আসামির বাসায় উপস্থিত হয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি ও কাবিননামা সম্পন্ন করতে বললে আসামি তাতে অসম্মতি জানান।

এসময় আসামির বাসায় তার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে সেদিন ওই নারী পুলিশকে ‘মারধর করেন’ বলেও আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।
করোনাকালীন সময়ে আদালত বন্ধ থাকায় তার মামলা দায়ের করতে দেরি হয় বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রিন্ট