ঢাকা , শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আহতদের সেবা ও পরামর্শ দিলেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল Logo রংপুরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাঃ খাদে পড়ে গেল আলিফ পরিবহন, আহত অন্তত ২০ Logo হাতিয়া চরকিং ইউনিয়নে আব্দুল হাই ভূঁইয়া ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের উদ্দ্যেগে বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রি ইংরেজি শেখার কার্যক্রম চালু হয়েছে Logo শার্শায় কৃষকের বাড়ি ভাংচুর ও বোমা হামলা ঘটনার মুল হোতা তোতা আটক Logo হাতিয়ায় মুয়াজ্জিন পেলেন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা Logo আলিপুর টি ১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  Logo শালিখায় স্ত্রীহত্যা মামলার আসামি মিজানুর গ্রেফতার Logo বাঘায় আগুন নিয়ন্ত্রনে ব্যাপক ক্ষতি থেকে রক্ষা Logo ভূরুঙ্গামারীতে “Movement for Punctuality” আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo গণসংযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এনসিপিঃ সামনে জুলাই পদযাত্রা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ১১ বছর পর কৃষকের মৃত্যুদন্ড

  • ফরিদপুর অফিসঃ
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৩০৯ বার পঠিত

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জিন্দার আলী শেখ ওরফে পলাশকে (৩২) মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ ঘোষণা করেন। একই সাথে আসামীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। রায় ঘোষনার সময় আসামী জিন্দার আলী আদালতে হাজির ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার কদমী গ্রামের মো. মোসলেম মোল্যার মেয়ে ও স্থানীয় আবু জাফর সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার আলীম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রূপালী খানম। মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে বিভিন্ন সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতো আসামী। এক পর্যায়ে রূপালীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় জিন্দার আলী। সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০১০ সালের ২০ মে রূপালী খানমকে ধর্ষণ শেষে কাচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে জিন্দার।

এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলা তদন্তকালে আকলিমা নামের এক নারীকে আটক করে রিমান্ডে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে কোন তথ্য না পাওয়ায় এই মামলায় আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

পরে বাদির নারাজি আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) কে দায়িত্ব দেয়। ডিবির উপপরিদর্শক শেখ আবু বক্কর মামলার তদন্তকালে আসামী জিন্দার আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে আসামী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে রূপালীকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন।

গতকাল বুধবার সকালে রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. স্বপন পাল বলেন, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জিন্দার আলী ওরফে পলাশ একজন কৃষক। সে পড়ালেখা জানতো না। রূপালি খানম মাদ্রাসায় যাতয়াতের পথে সে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতো। পরে তার বাড়িতে ঘটকও পাঠায়। কিন্তু রূপালির পরিবার এতে রাজি না হওয়ায় জিন্দার আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করে। মামলার ১১ বছর পর এ রায় হলো।

তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী ধনঞ্জয় বল তাঁর মক্কেল নির্দোষ ও ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবী করেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আহতদের সেবা ও পরামর্শ দিলেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

error: Content is protected !!

ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ১১ বছর পর কৃষকের মৃত্যুদন্ড

আপডেট টাইম : ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
ফরিদপুর অফিসঃ :

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জিন্দার আলী শেখ ওরফে পলাশকে (৩২) মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ ঘোষণা করেন। একই সাথে আসামীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। রায় ঘোষনার সময় আসামী জিন্দার আলী আদালতে হাজির ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার কদমী গ্রামের মো. মোসলেম মোল্যার মেয়ে ও স্থানীয় আবু জাফর সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার আলীম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রূপালী খানম। মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে বিভিন্ন সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতো আসামী। এক পর্যায়ে রূপালীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় জিন্দার আলী। সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০১০ সালের ২০ মে রূপালী খানমকে ধর্ষণ শেষে কাচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে জিন্দার।

এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলা তদন্তকালে আকলিমা নামের এক নারীকে আটক করে রিমান্ডে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে কোন তথ্য না পাওয়ায় এই মামলায় আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

পরে বাদির নারাজি আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) কে দায়িত্ব দেয়। ডিবির উপপরিদর্শক শেখ আবু বক্কর মামলার তদন্তকালে আসামী জিন্দার আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে আসামী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে রূপালীকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন।

গতকাল বুধবার সকালে রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. স্বপন পাল বলেন, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জিন্দার আলী ওরফে পলাশ একজন কৃষক। সে পড়ালেখা জানতো না। রূপালি খানম মাদ্রাসায় যাতয়াতের পথে সে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতো। পরে তার বাড়িতে ঘটকও পাঠায়। কিন্তু রূপালির পরিবার এতে রাজি না হওয়ায় জিন্দার আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করে। মামলার ১১ বছর পর এ রায় হলো।

তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী ধনঞ্জয় বল তাঁর মক্কেল নির্দোষ ও ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবী করেন।


প্রিন্ট