প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের লাগানো গাছের ডাল বিক্রির মাধ্যমে কেটে থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের কামারোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন ওই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী রাজিব আহমেদ ও তার পরিবারের লোকেরা।
রাজিব আহমেদ অভিযোগে বলেন, ‘আমার প্রতিবেশি নুরুল ইসলামের জমিতে লাগানো রেইন্ট্রি গাছের ডাল আমার বসতবাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। এতে আমার ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়। গাছের ডাল কাটার জন্য তাকে একাধিকবার বললেও তিনি গাছের ডালগুলো কাটেন না। এদিকে, নুরুল ইসলামের শ্যালক ইনায়েত মোল্যার জমিতেও আমার গাছের ডাল প্রবেশ করায় ফসলের ক্ষতি হয়।
গত ৯ জুন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ওলিয়ার রহমান মোল্যা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উভয়ের গাছের ডাল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক আমি আমার গাছের ডাল কেটে দেই ও নুরুল ইসলামও তার গাছের ডাল (বিক্রির মাধ্যমে) কেটে ফেলেন। তিনদিন পর নূরুল ইসলামের স্ত্রী মোসা. শাকিলা ইসলাম শিখা বাদী হয়ে আমার ও আমার বৃদ্ধ বাবা, ভাইকে আসামী করে কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আমরা অপরাধ না করেও মামলার আসামী হয়ে অযথা হয়রানীর শিকার হচ্ছি। প্রতিপক্ষের মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ওলিয়ার রহমান বলেন, ‘আমিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সামাজিকভাবে বসে দু’পক্ষের গাছের ডাল কাটার সিদ্ধান্ত হয়। ডাল বিক্রির টাকা আমার হাত দিয়ে লেনদেন হয়।’
গাছের ডাল ক্রেতা আরফিন মোল্যা বলেন, ‘আমি গাছের ডালগুলো মালিকের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে ওলিয়ার মেম্বারের কাছে টাকা দিয়েছিলাম। পরে তিনি শিখার ভাই ইনায়েত মোল্যার কাছে টাকাগুলো বুঝে দেন।
মামলার বাদী মোসা. শাকিলা ইসলাম শিখার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমি আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক না এবং আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন না বলে ফোনটি কেটে দেন।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাশিয়ানী থানা এএসআই শাহাদাত হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাদী একটি জিডি করেছিলেন। জিডির প্রসেসিং সন্দেহ হয়েছে। মামলাটি এখন চলমান। এখানে অনেক সত্য-মিথ্যা কথা আছে ফোনে বলা যাবে না।’
প্রিন্ট