ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইমরুল খান (৪০) এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইমরুল ঐ ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের মৃত হালিম খানের ছেলে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায় শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে ইমরুলের বাড়িতে কয়েকজন লোক এসে তার বাড়ির পাশে রাস্তায় ডেকে নিয়ে হাতুড়ি ও রড দিয়ে বেধরক মারধর করে আহত অবস্থায় রেখে যায়।
এসময় তার পরিবার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত ইমরুলের ছোটভাই রাজু বলেন, খারদিয়া গ্রামের ইরন খন্দকার, রাজন খন্দকার, ওহিদ খন্দকার, হিমায়েত মোল্যা ইমরুল মেম্বারের কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
টাকা না দেওয়ায় শুক্রবার তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ওহিদ খন্দকারের বাড়ির সামনে হাতুড়ি ও রড় দিয়ে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। এতে তার দুই পায়ের হাড্ডি ভেঙ্গে গেছে। অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি,ইমরুল মেম্বার ভিজিডির কার্ড, বয়স্কভাতার কার্ড দিতে চেয়ে গ্রামের একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। কিন্তু কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও কাউকে কার্ড দেয়নি, টাকাও ফেরৎ দেয়নি। জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ধুলাই দিয়েছে। এখানে গ্রাম্য দলপক্ষের কোন বিষয় নয়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া বলেন, ইমরুল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য তার উপর বর্বরচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রীয়াধীন।
প্রিন্ট